দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সাবেক সভাপতি অমিত শাহকে এক হাত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন মমতা।
‘আমি অমিত শাহকে সম্মান করি’, এই বলেই অমিত শাহর বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেন মমতা। মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর লেখা চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।
‘খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর, আমাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করা শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত? আপনি সরাসরি আমার সঙ্গে কেন কথা বলবেন না? আমি আপনাকে অনুরোধ করছি অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও যেন এমন ঘটনা ঘটাবেন না’, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ সময় অমিতকে লক্ষ্য করে মমতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না এবং কথায় কথায় রাজ্যগুলোর দিকে সমালোচনার আঙুল তুলবেন না। রাজ্যগুলোর ওপর আস্থা রাখুন।
তৃণমূল নেত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও রেহাই দেননি। তিনি মোদিকে বলেন, ‘আপনারা সবসময় বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) সমালোচনা কেন করেন?’
পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ২০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসেন। কিন্তু তারা আসার খবর আগে থেকে রাজ্য সরকারের কাছে ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দল কলকাতা পৌঁছানো মাত্র ঘণ্টা তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ফোন করে জানান অমিত শাহ।
সে প্রসঙ্গে সোমবারের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমাদের কি তাদেরকে বাবু বলা উচিত ছিল এবং ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা উচিত ছিল?’
মুখ্যমন্ত্রী এসময় মোদি ও তার স্বরাষ্ট্র পরিস্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল রাজ্যে পর্যবেক্ষণে আসতেই পারে, তবে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব তাদের কথায় উঠবেন-বসবেন এমন আশা যেন তারা না করেন।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রসঙ্গটিও বৈঠকে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি অমিত শাহকে অনুরোধ করছি যাতে কোনওভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া না হয়।… যদি প্রয়োজন হয় তবে দয়া করে আমাদের জানাবেন, আমরা টাকা দেবো।’
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন