প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের চাকরিচ্যুতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ শিক্ষক বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাদা দল-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক।
পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লেখার দায়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দলের সহ দফতার সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুমহান ঐতিহ্যটি নস্যাৎ করার অপপ্রয়াস চলছে। ড. মোর্শেদ হাসান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তার একটি নিবন্ধের সূত্র ধরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি পত্রিকার নিবন্ধটি প্রত্যাহার এবং ওই পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপরও তাকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানে প্রমাণিত হয় যে, ড. মোর্শেদ হাসান খান গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ৫৬ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা রাজনীতি করার তথা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রাখলেও কেবলমাত্র একটি দৈনিক পত্রিকায় নিবন্ধ লেখা এবং নিবন্ধ প্রকাশের পর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করা সত্ত্বেও তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের ঘটনা নজিরবিহীন। প্রকৃতপক্ষে সরকার বিরোধী মতের মানুষদের সহ্য করতে পারে না বলেই একটা অজুহাতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে ড. মোর্শেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। শুধুমাত্র পত্রিকায় নিবন্ধ লেখাকে ইস্যু বানিয়ে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত চাকরিবিধির সুস্পষ্ট ব্যত্যয় বলে আমরা মনে করি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের মতো অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।