যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কি আমৃত্যু কারাবাস তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ১ ডিসেম্বর। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে আমৃত্যু কারাবাস বলে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউর রায় হবে এদিন। এই রায়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে যে, কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে তাকে কত বছর জেলে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ আগামী ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর অন্যপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী শিশির মনির।এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই আপিল বেঞ্চ এই রিভিউ শুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। এই রিভিউ শুনানিতে আইনি মতামত তুলে ধরেন চার অ্যামিকাস কিউরি। তারা হলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, মুনসুরুল হক চৌধুরী ও এ এম আমিন উদ্দিন।
একটি হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তারা হলেন আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস বলে সাত দফা অভিমত দেন।
তবে আপিল বিভাগের দেওয়া এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আসামি আতাউর মৃধা।