চৌধুরী হারুন, রাঙামাটি: জেলা শহরের বনরূপায় কবরস্থানের পাশে ম্যাগপাই কর্মীর ছুরিকাঘাতে ইযাযুল হক রাব্বী (২৮) পিতা -মোজাম্মেল হক প্রগতি সু ষ্টৌর মালিকের ছেলে খুন হয়। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেলিম আহম্মদ রেষ্টুরেন্ট কর্মচারী সকাল ১১ টার দিকে পলাতক অবস্থায় রাঙামাটি শহর থেকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটানায় বিকাল ৩ ঘটিকায় পুলিশ সুপার কার্য্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টাকা নিয়ে বিবাদে খুন হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে বনরূপা ফরেস্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইযারুল বাসা থেকে বের হলে সে আর বাসায় ফেরেনি। ভোরে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইযারুল প্রায়দিনই রাতে বাসার বাহিরে থাকতো। ধারণা করা হচ্ছ, কারো সঙ্গে বিবাদের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় দারোয়ান আমির ছুরি আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খরা হয়েছে।
এদিকে, রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, ব্যক্তিগত শুত্রুতা কথাকাটাকাটি এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করলে ইযাযুল হক মারা যায়। তদন্ত সাপেক্ষ খুনীদের সর্ম্পকে বিস্তারিত জানা যাবে। গতকাল দুপুরে বাসা থেকে সে (রাব্বী) বের হয়, সারাদিন খোঁজ না পাওয়ায় মা রাত ১টায় ফোন করে কখন বাসায় ফিরবে জানতে চায়, তখন সে মা’কে কী উত্তর দিয়েছিল সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। যতটুকু জেনেছি, ভোর পাঁচটার দিয়ে বনরূপায় কারো সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। এরপর কবরস্থানের একটু আগেই তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। তবে কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে সে তথ্য আমরা এখনো পাইনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার ণাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকালে আছর নামাজের পর জানাযার পর দাফন করা হবে ।