প্রত্যয় ডেস্ক, চৌধুরী হারুনর রশীদ, রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ রাঙামাটি পর্যটনে অবৈধ দোকানের জমজমাট ব্যবসা-সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ! তার আগে পর্যটন মৌসুমে ঝুলন্ত ব্রীজের উপর জিরান-১ জিরান-২ পর্যটকদের জন্য দোকান ছিল। জিরান-১ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় নিতে চেয়েছিল স্থায়ী ব্যবসায়ী কিন্ত তাকে না ভাড়া দেয়নি ব্যবস্থাপক। বর্তমানে এটি পরিত্যাক্ত দেখা গেছে। করোনার মহামারীর আগে সংরক্ষিত সীমানায় ৭/৮ টি ভাসমান দোকান ছিল।
বর্তমান এসব দোকান ঝুলন্ত ব্রীজের পর সড়ক দখল করে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান স্থায়ীভাবে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এসব অভিযোগের সুত্র ধরে প্রতিবেদক সরেজিমন অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পায়। এক দোকানী জয়া মার্মার কাছে প্রশ্ন করা হলে পর্যটন এরিয়ার ভিতরে কে বা কারা বসিয়েছে এসব দোকানা- সে জানায় ‘আমরা স্থায়ী হওয়ায় স্বেচ্ছায় নিজেরা ব্যবসা করছি। বেচা-বিক্রি ভাল, কেউ বাধা বা নিষেধ করেনি । তাই অনেক দোকান বৃদ্ধি পেয়েছে।’
পর্যটন থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছে স্থানীয় বনানী টেক্সটাইল মালিক বাবলা দে, তিনি বলেন, মাসিক প্রায় ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছি বেচা বিক্রি খুবই কম। পর্যটন ব্রীজের ঐপারে প্রচুর অবৈধ দোকান বসার কারণে বেচা বিক্রি খুবই নগন্য।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন জানায়, এক সময় ব্রীজের পার্শ্বে আমার একটা দোকান ছিল, আমি সরকারকে মাসিক রাজস্ব দিয়েছি, পর্যটন মোটেল দোকান করেছি। কিন্তু সীমানা ঘেষে কয়েকটি দোকানের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্য্যালয়ে উচ্ছেদের মামলা করেন তৎকালিন ব্যবস্থাপক । সেই সময় আমাদের উচ্ছেদ করা হলেও ব্যবস্থাপকের নীরব দর্শকের ভুমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ? বর্তমানে অর্ধশতাধিক দোকান বসার কারণে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায় । এসব দোকান থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে।
পর্যাটনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া মুঠোফোনে বলেন-প্রাথমিকভাবে মোখিকভাবে বাধা দিয়ে আসছি, কিন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির টেলিফোনের কারণে উঠাতে পারেনি। যেখানে দোকান বসিয়েছে সেখানে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছি, এসব উন্নয়ন কাজ করতে গেলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা আপনা-আপনি উঠে যাবে।
উল্লেখ্য পর্যটনের পুরো তিন একর ভুমির মালিক ছিল হোমিও ডা.মহসিন ও ছৈয়দ আমিন ঠিকাদার । দুইজনের যৌথ মালিকানা পর্যটন এড়িয়ার .৯৫ শতক ভুমির ক্ষতির পূরণ না পাওয়ায় মামলা চলমান রয়েছে।