চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি: রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়নে ৬৩৯ সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রকার সকালে বালুখালীর মরিচ্যাবিল বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়ানাধীন “পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যান্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প-২য় পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্পের আওয়াতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে সোলার প্যানেল তুলে দেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং।
সোলার প্যানেল বিতরণ ও আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, সদস্য প্রশাসন(যুগ্ম সচিব) ইফতেখার আহমেদ, সোলার প্রকল্পের উপ সচিব হারুন অর রশিদ, বোর্ডের উপ সচিব জসিম উদ্দিন,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমীন ও ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়নের কার্বারী রঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা।
উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, সুবিধাভোগীদের মাঝে ১০০ ওয়াটের একটি সোলার প্যানেল, চারটি এলইডি লাইটসহ যাবতীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। এ সোলারের মাধ্যমে একটি টেলিভিশন,মোবাইল চার্জসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বসবাসরত বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত মানুষের চিন্তা করে পার্বত্যবাসীদের জন্য বিনামূল্যে সোলার বিতরণ কার্যক্রম উদ্যোগ নিয়েছে। যা ১ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে পাহাড়ে সোলার বিতরণ করা হবে। যে এলাকায় সোলার বিতরণ হবে সে এলাকার সমস্ত পরিবার এ সুবিধা ভোগ করবে। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে পাহাড়ে এসব উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে’
এমপি আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার কখনও মিথ্যা কথা বলে হাত তালি গ্রহণ করেন না। যা যা উন্নয়ন করতে পারবে তাতেই হাত তালি দিয়ে গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার জনগনকে ভুলায় না। যা সুবিধা দেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাই ঘোষণা দেয়।’
উল্লেখ্য ,রাঙামাটি ডিসি বাংলোর অদুরে আদার পাহাড়ে “প্রদীপের নীচে অন্ধকার” সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে ২৪ টি পরিবার চার পরিবার অন্যত্র চলে গেছে, একটি মসজিদ ও একটি এবাদত খানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে শিশুদের আরবী শিক্ষা রয়েছে । আদার পাহাড়ে কোন পরিবারে সোলার নেই,কেয়া নামে শাহ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণীর ছাত্রী জানায়, আমাদের বিদ্যুৎ ও সোলার ব্যবস্থা না থাকায় রাতে এখনো হারিকেন বা বাতি নিয়ে পড়তে হয় । কাসেম নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানায় পার্ব ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সোলার জন্য আবেদন করেছি কিন্ত এখনো পায়নি। তিনি বলেন আমার বড় ভাই আবুল কালাম নামে আবেদন করেছে অনেক আগে ।