সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর র্দুর্ধষ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ তাদের কাছে অস্ত্রও পায়। পুলিশ বলছে, এরা রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম র্দুর্ধষ ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের বাইরে আরও নানা অপরাধে জড়িত তারা। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, মহানগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে জানা ওরফে জনি (৩০), তার ছোট ভাই রায়হান ওরফে পাপ্পু (২৬) এবং মধ্য নওদাপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম জনি (২৮)। জনির বাবার নাম মৃত সোহরাব হোসেন। এর মধ্যে পাপ্পুর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ছয়টি মামলা আছে। জনির বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। আর জনির বিরুদ্ধে রাজপাড়া ও পবা থানায় আছে তিনটি মামলা। তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলাগুলো আছে ছিনতাই, মারামারি এবং মাদকদ্রব্য বিক্রির অপরাধে। তারা বার বার গ্রেপ্তার হয়, ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ছিনতাই তাদের প্রধান ‘পেশা’। এই তিন ছিনতাইকারীকে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ পানির পাম্প এলাকা থেকে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার পাপ্পু ও জানা এবং রতন এবং ইলিয়াস নামের আরও দুইজন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণালী মোড়ের পেছনে ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তারা ইমরানকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পিস্তল উঁচিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ইমরানের বাড়ি হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইমরানের বড় ভাই শওকত হোসেন। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়। পরে রাতে জানা যায়, পাপ্পু ও জানা হেতেমখাঁ এলাকায় তিনজন আত্মগোপন করে মাদকসেবন করছে। সেখানে পুলিশ অভিযানে যায়। এ সময় একটি পিস্তলসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল পাপ্পু। তখন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে তার পা ভেঙে যায়। পরে তাকেও ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।