1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

রাজাপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক সন্তানের জননীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

  • Update Time : শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০
  • ১৫৪ Time View

স্টপ রিপোটার ঃ গত দুমাস পুর্বে সদর উপজেলার রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাকপ্রতিবন্দিকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে ঐ প্রতিবন্দির মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে কথিত দুই ধর্ষক ১)ফারুক খাঁ, ২)আবু মাল এদের বিরুদ্বে একটি ধর্ষন মামলা করেন বলে জানান বাদি হাজেরা। তিনি জানান আসামিরা উভয়ই আমার প্রতিবেশি। তবে ১নং বিবাদিনী ফারুক খাঁন আমার নিকটতম প্রতিবেশি সে প্রতিদিনই পান খাবার উদ্দেশ্যে আমার ঘরে আসতো।তার আসা যাওয়া ছিল বেশির ভাগ রাতেই। ঘটনার দুই মাস পুর্ব থেকে আমি আমার প্রতিবন্দি মেয়ে রেখে ঢাকায় অবস্থান করি, কিন্তু ধর্ষক ফারুক খানের আসা যাওয়া কে আমার সন্দেহ হলেও আমার মেয়ে পাগল বলে আমি সন্দেহ এড়িয়ে যাই বলে জানান হাজেরা। অনুসন্ধানে জানা যায় মানসিক ভারসাম্যহিন, ও ভাসমান,ভিক্ষুক মহিলাদের চাউলের লোভ দেখিয়ে নির্জনে ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করার ইতিহাস তার অনেক পুরোনো। এমনকি তার নিজের মুখের স্বিকারোক্তি রয়েছে সে এপর্যন্ত ভাসমান মহিলাদের কয়টি ধর্ষনে অংশগ্রহন করেছেন। তবে এ ধর্ষন সে করেনি বলে জানান।২নং বিবাদি আবু মালের বিষয়ে ফারুক খাঁন বলেন ভাই আমি জীবনে অনেক অন্যায় করেছি তবে আবু মালের মতো ৬৫ বছরের বৃদ্ধা এ কাজ করেনি এবং করতে পারেনা। আমি পাপ করেছি ঠিক কিন্ত এইটা করিনি।

আর আবু মালের জিবনে এধরনের কোন অপকর্মের কথা আমি নয় গোটা রাজাপুরে কেউ বলতে পারবে না বলে আমি মনে করি। অনু সন্দ্বানে ঐ এলাকার কিছু বৃদ্ধা,বনিতাদের বক্তব্যে ফারুকের এ ধর্ষনের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানান। ফারুকের প্রতিবেশি গরিব অসহায় রিক্সা চালকের স্ত্রী বলেন ফারুক আমাকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চালের কার্ড দেবার কথা বলে প্রথমে কু প্রস্তাব দেন, পরে এক দিন একা পেয়ে আমার হাত ধরে টানাটানি করলে আমি জুতা মারি,এবং আমার স্বামীকে জানাইলে ফারুক তার কাছে মশকারি করেছি বলে মাপ চায় বলে জানান ফাতেমা। তিনি জানান ফারুক চেয়ারম্যানের লোক বলে নির্জনে বড় রামদা নিয়ে ঘোরে দা দিয়ে অনেক ভিক্ষুকদের ভয় দেখিয়ে অপকর্ম করেছে ফারুক। অপর দিকে ফারুক তার মামলার ভয়ে আপাদত গাঢাকা দিয়ে থাকলেও মুঠো ফোনে চলছে বাদির বাড়ি ঘর জালিয়ে দেয়া,বাদিকে, মিথ্যামামলায় জরানো সহ হত্যার হুমকি,ফারুকের এরকম কথার একটি অডিও রেকর্ডও অনুসন্দ্বানে প্রতিবেদকের হাতে পৌছে। রেকর্ডের বিষয়ে ফারুকের বক্তব্য বিপরিত মুখি এসব রেকর্ডে কি হবে আমার? পাগল,ছাগল করার টাইম পার করে মেম্বার,সরকার দলিয় ওয়ার্ড নেতা কত সাইজ করলাম তাতেও কিছু করতে পারেনি এখন আর কি হবে বলেন ফারুক।

মামলা বিষয়ে ফারুক বলেন আমার ভাই চেয়ারম্যান আমাকে আপাদত দুরে রাখছে চার্জশিটের পরে দেখা যাবে মামলায় কি হয়।অন্য এক ভয়েস রেকর্ডে ফারুক খাঁ বলেন এক মামলার জন্য ১৪ মামলার আসামি হতে পারে বাদির পরিবারের একমাত্র্র কর্মক্ষম ছেলে আসলাম। ফারুক আসলামকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন বলে জানাযায় স্থানিয় ফারুকের প্রতি বেশি দের কাছে। অপর দিকে ফারুক বলেন আমাকে অযথা দোষি করেছেন হালান হাং ও বাুবুল বয়াতি। প্রকৃত পক্ষে ধর্ষনটি বাবুল বয়াতির ভগ্নিপতি আমির দফাদার করেছে বলে আমি শুনেছি বলেন ফারুক।ফারুক বলেন ঘটনার রাতে বাবুল বয়াতি ধর্ষিতাকে ৫০০টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার ভগ্নিপতি আমিরের স্থলে আমাদের নাম বলতে শিখায়।আবু মালের নাম আসার কারন হিসেবে ফারুক বলেন বাবুল বয়াতি আমাদের এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের দালালি করতেন মিটার প্রতি ৩৫০০টাকা নিতেন কিন্ত আবু মাল দালালের মাধ্যমে মিটার না নিয়ে মাত্র ১৬০০ টাকায় পল্লিবিদ্যুৎ অফিস থেকে দুটি মিটার গ্রহন করেন, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে বাবুলের বিদ্যুৎ বানিজ্যে ঘাটতি হয় আর সে ঘাটতি পুরন করতে আবু মালের বিরুদ্ধে এ প্রতিবন্দি ধর্ষনের নাটকিয়তা সাজান বলে জানান ফারুক খাঁন। এদিকে পাতানো নাটকের পরে কালামও বেল্লাল নামক দুই দালাল ফিট করেন আসামি আবু মালের পিছনে, তারা ১৫০০০০ চুক্তিতে মামলা ফাইনাল দেবার কথা বলে ৯২ হাজার টাকা গ্রহন করেন আবু মালের থেকে ।

টাকা গ্রহনের বিষয়টি সর্বমহলে জানাজানি হলে টাকা ফেরৎ দেবার কথা ও স্বীকার করেন দুই দালাল। তবে ২৫০০০টাকা ফেরৎ দিয়েছে বলে জানান আবুমাল। বাকি টাকার কিছু খরচ করেছে অবশিস্ট টাকা দিবার জন্য সময় নিয়েছেন দুই দালাল। দালাল কালাম কোস্টার্ডের সোর্স এবং ভোলার কোন এক বড় সংবাদ কর্মীর তথ্যদাতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে জানাযায়। কালামের অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা বানিজ্য রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়।অপর এক দালাল বেল্লাল ধর্ষিতার মামা হলেও তার ক্ষমতার দাপটে বোনের পরিবার নিরব থাকতে বাধ্য বলেন তার ভাগ্নে আসলাম। আসলাম বলেন মামা মেঘনায় ডাকাতি করতেন সেই ডাকাতির উপার্যিত টাকায় মেম্বারি নির্বাচন করেছেন অল্পতে হেরেছেন, মেম্বার হলে আমাদের মামলা নাকি তার জন্য ছিল ১/২ মাত্র এমনটি বলেন আসলাম। আসলাম এ মামলার বিষয়ে বারাবাড়ি করলে তাকে তার মামা বিল্লাল মেঘনার মাছের খাবার বানানোর মতো হুমকিও দিয়েছেন বলে জানায় আসলাম।

এদিকে আজ ১৫/৫/২০২০ শুক্রবার বিকালে ফারুক ঐ প্রতিবন্দির পরিবারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে ফারুকের বিরুদ্ধে। হামলার স্বীকার হয়ে প্রতিবন্দি ও তার মা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র্রে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান ইনচার্জ শ্রি রতন চন্দ্র। এ বিষয়ে তিনি বলেন আমরা আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনে সচেষ্ট আছি। আজকের ঘটনায় ফারুক বলেন আমাদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেনি তবে চাক মারা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বাদি পরিবারের সাথে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..