ভারতের আর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এ ভাবে পথে নেমে লড়াই করতে দেখা যাচ্ছে না। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সারা ভারতে এই রাজ্যই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। আর এর কৃতিত্ব পুরোপুরি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর। অথচ তাঁরই সমালোচনা করে চলেছেন রাজ্যপাল। তিনি রাজনৈতিক নেতার মতো কথা বলছেন। তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বিজেপির হয়ে কথা বলছেন।’এদিকে, কল্যাণবাবুর চিঠি পাওয়ার পরই পালটা চার পাতার চিঠি পাঠান রাজ্যপালও। সূত্রের খবর, কল্যাণবাবুর অভিযোগগুলি ধরে ধরে উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, শপথ নেওয়ার পর থেকেই তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত হলে, উপেক্ষিত হলে তিনি মুখ খুলবেনই। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে লেখা চিঠির মতোই একই ভাষা এই চিঠিতেও। বলেছেন করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা ঢাকতে কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার। তিনি লিখেছেন, ‘এটা কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। এই সময় দেশের থেকে রাজ্যকে আলাদা করে দেখানোর চেষ্টা অসাংবিধানিক।’
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের কাজের সমালোচনা করে টুইট করে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। কয়েকদিন আগে বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠান রাজ্যপালকে। পাল্টা কড়া জবাব দেন রাজ্যপালও। তার পর থেকে রাজভবন–নবান্ন সঙ্ঘাত তীব্রই হয়ে চলেছে।