প্রত্যয় ডেস্ক: সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের নির্যাতনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহানুভবতা ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রদূত রেন্সে তিরিঙ্ক।
ইইউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা (১৪ মিলিয়ন ইউরো) নতুন অনুদান দিয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমকে সাহায্য করবে।
ইউএনএইচসিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। রাষ্ট্রদূত রেন্সে তিরিঙ্ক বলেন, ইউএনএইচসিআরের জন্য আমাদের এই ফান্ডিং সেই মহানুভবতা ও মানবিকতার প্রতি একটি অবদান।
এটি বৈশ্বিকভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিম ইউরোপের কার্যক্রমের একটি অংশ। আর এর লক্ষ্য হচ্ছে– মহামারীর কারণে শরণার্থী সংকট যেন আরও খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করা। নিবন্ধনের মাধ্যমে শরণার্থীদের সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। আরও নিশ্চিত করা যায় যেন নির্দিষ্ট ও বিশেষ সেবা পাওয়ার যোগ্য মানুষেরা সুরক্ষা পায় এবং সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে মানবিক সাহায্য পায়।
এই অনুদান আরও সাহায্য করবে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়ন, সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রম এবং কক্সবাজারে করোনায় আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড।
২০১৭ সালে নতুন করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর আগমনের পর থেকে অতিপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয় তৈরি, পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বর্ধিত আকারে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় ইউএনএইচসিআরসহ অন্য মানবাধিকার সংস্থা মিলে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করে আসছে।