বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনের কথা ঘোষণা করার সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রতিটি বেসরকারি সংস্থাকে অনুরোধ করেছিলেন, এই সময়ে তারা যেন তাদের কর্মীদের বেতন না কাটে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশীদার হয়েই যে তাঁরা গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন, সে কথাও সকলকে মনে করিয়ে দেন। বলা বাহুল্য, তাঁর সেই অনুরোধ যে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই রাখেনি, তার প্রমাণও বহু মিলেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই তাঁদের কর্মীদের বেতন কেটেছে। এমনকী, কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্তও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন না মানায় অনেকেই সেই সব সংস্থার সমালোচনাও করেছেন।
কিন্তু, এবার একটি চমকপ্রদ ঘটনার কথা জানা গেল খোদ কলকাতায়। রাজ্য বিজেপির কর্মীদেরই নাকি বেতন আটকে রয়েছে! উল্লেখ্য, লকডাউনের জন্য মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর বন্ধ রয়েছে। ফলে দফতরে যে সব কর্মী কাজ করেন, তাঁরা কেউই আসছেন না। শুধু তাই নয়, খবর হল, বিজেপি দফতরের বিভিন্ন গাড়ির চালক এবং কার্যালয় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করেন যে কর্মীরা, তাঁদের কারও নাকি বেতন হয়নি। বলা বাহুল্য, এমন খবর জানা যেতেই অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিরোধীদের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, যে দল দেশের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে, সেই দলই যদি তার কর্মীদের বেতন দিতে না পারে, তা হলে সারা দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা যে কতখানি দুর্বিষহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা সহজেই অনুমেয়।
যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজ্য বিজেপিও নড়েচড়ে বসেছে। তাদের তরফে এই ঘটনার জন্য সাফাইও দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন শীর্ষস্তরের বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে নাকি তাদের অনেক চেকই ক্লিয়ারেন্স হয়নি। সেইজন্যই দফতরের কর্মীদের বেতন আটকে গিয়েছে। তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। প্রত্যেক কর্মীই তাঁদের বেতন পাবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গাড়ির চালক এবং কার্যালয় পরিচ্ছন্ন করার কাজে ২৪ জন কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন।