লালমনিরহাট প্রতিনিধি: গত ২৪ ঘন্টার ভারী বর্ষণে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি কারণে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলগুলো। ক্ষতির মুখে পড়েছেন তীরবর্তী কৃষকরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও গেল ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি কম থাকলেও বেড়েছে ধরলা ও তীরবর্তী নদ-নদীর পানি। তীরবর্তি নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে আছে আবাদি জমি। গেল বন্যার ধকল না কাটতে ফের বন্যার আশংকায় শ্বঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী কৃষকরা। মফিজুল ইসলাম জানান, গতরাতে বৃষ্টি আর বজ্রপাত শুরু হয়। তখন থেকেই একটানা বৃষ্টি চলছে। যার কারণে পানি বেড়েছে ফসলি জমি ডুবে গেছে। এভাবে প্রতি বছর ক্ষতি হতেই থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুসকিল।
তীরবর্তী কৃষক লিটন মিয়া বলেন, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছি। কিন্তু এক রাতে সব ডুবে গেছে পানিতে। এখন আমাদের সংসার চলা দুষ্কর হয়ে যাবে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও দেশের এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারনে পানি প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বড় ধরনে বন্যার কোন সতর্কবানী নেই বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ধরলার পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং দুপুরে তা কমে পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এভাবে অনবরত বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে পারে।