দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ মাঠের পাকা ধান কাটার অপেক্ষায় কৃষক। কিন্তু করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছে শ্রমিকের সংকট। তাই সময় মত ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে ভারি বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় হতাশ কৃষক।
অন্যদিকে টানা লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বেশির ভাগ গ্রামে শ্রমিক পৌঁছাতে পারছে না। এমন সংকটাপন্ন সময়ে দরিদ্র কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। তাদের সাথে কঠোর পরিশ্রম করে ধান কেটে দিচ্ছেন তারা। এমনি এক চিত্র চোখে পড়ে শার্শা উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের মোঃ ওসমান গনি নামক কৃষকের মাঠ ভরা পাকা ধান কেটে ও তুলে দিয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম ও সহকারি প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের বেশকিছু ছাত্র ও শিক্ষক একত্রিত হয়ে কৃষকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন।
দলের একজন শিক্ষক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক গ্রামেই ধান কাটার জন্য শ্রমিক আসতে পারছে না। তাই কৃষকরা অনেক হতাশ। এমন সংকটে কৃষকরা যদি ফসল না উৎপাদন করতে পারে, তাহলে দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেবে। তাই কৃষকরা যাতে তাদের কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারে, তার জন্য আমরা শিক্ষক ছাত্ররা মিলে তাদের পাশে এসে সহায়তা করছি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন