দেশের মানুষের শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দেশের ২০ জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের’ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের মানুষের চক্ষুসেবা নিশ্চিতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ এখন সহজে চক্ষুসেবা পাবেন।তিনি আরও বলেন, আসলে চক্ষু চিকিৎসার অনেক খরচ। সাধারণ মানুষ এই খরচটা দিতে পারে না। কিন্তু তারা এদেশের নাগরিক, তারা চিকিৎসা পাবেন না? আমি তো শুধু প্রধানমন্ত্রী না, আমি তো জাতির পিতার কন্যা। সেই হিসেবে আমি মনে করি এটা আমার দায়িত্ব। এবং সেই দায়িত্বই আমরা পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন স্থগিত
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কর্মকর্তা এবং উপকারভোগীদের কথা শোনেন। এ সময় পীরগঞ্জে চক্ষু চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন এক উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নারী চক্ষু চিকিৎসায় আরও সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অনুরোধ জানান।
পীরগঞ্জের ওই নারী বলেন, আমার স্বামী এখান থেকে অপারেশন করে কালো চশমা পেয়ে অনেক সুস্থ আছেন।প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন আপনি আর কিছু বলবেন? জবাবে তিনি বলেন, বলতে চাই; চক্ষু চিকিৎসায় আমাদের এখানে আরও অনেক সুবিধা দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন : করোনায় সিলেট-৩ আসনের এমপি সামাদ চৌধুরির মৃত্যু
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। তার কথা শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই এগুলো করে দিচ্ছি, সব করে দেব।
পরে প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, আরে শ্বশুরবাড়ি বলে কথা, একটু বেশি কথা তো শুনতেই হবে।
এসময় করোনা সংকট শেষ হলে পীরগঞ্জে যাবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তাফা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন : এ বছরই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন, হুঙ্কার আমানের