দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ যশোরের শার্শা উপজেলার ০৭ নং কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকুকে নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যশোরের শার্শার রুদ্রপুরে আকবার আলী (৪৫) নামে এক মৃত ব্যক্তির লাশকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করে গুজব রটিয়ে বেরাচ্ছে একটি মহল । মৃত্যুর কারণ হিসেবে উপজেলার কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ (টিংকু) কে ফাঁসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ মে) বিকালে স্থানীয় কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে করোনা ভাইরাসের কারনে খাদ্য সংকটে আছে এমন একজন মধ্যবিত্ব পরিবারের সদস্যের ফোন পেয়ে তাকে খাদ্য সামগ্রী দিতে তার বাড়িতে গেলে স্থানীয় রুদ্রপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া বউ বাজারের সিংড়া-পিঁয়াজির দোকানদার আকবর আলী চেয়ারম্যান টিংকুকে গতিরোধ করে ত্রান দাবি করলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে ত্রান দিবেন বলে আশস্ত করে আসেন। সন্ধ্যার পরে পিঁয়াজী-সিংড়া বিক্রি করতে করতে দোকানী আকবর আলী হঠ্যাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে নিজের স্ত্রীকে দোকানে রেখে বাড়িতে চলে যান। তার স্ত্রী তারবীর নামাজের পর বাড়িতে গিয়ে দেখেন তিনি ঘরে খাটের উপর মৃত্যুবরণ করে পড়ে আছেন। আর তার এই মৃত্যুকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহল চেয়ারম্যান টিংকুর জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
মৃত আকবর আলীর স্ত্রী শাহানার বেগম জানান, আমার স্বামী একটু উত্তেজিত প্রকৃতির লোক ছিলো। সে সব সময় একটু জোরে এবং বেশী কথা বলতো। চেয়ারম্যান টিংকু যখন আমাদের গ্রামে ত্রান দিয়ে ফিরে আসছিলো তখন আমার স্বামী চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলে সবাই ত্রান পাচ্ছে আর আমার ঘরে চাল নাই আমার ত্রান কৈ। তখন চেয়ারম্যান বলেন আমি তো জানতাম না আপনি খাদ্য সংকটে আছেন বলে তিনি তার গাড়ি থেকে কিছু চাল আমার কাছে দেন এবং বলেন ভাবি মনে কিছু করবেন না আপনাদের ত্রানের ব্যবস্থা করে দেব বলে চলে যান।
তিনি আরও বলেন আমার স্বামী মারা গেছে স্টোক করে আমার স্বামীর লাশ টাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বিপক্ষের কিছু লোক নোংরা রাজনীতি করে চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে । আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য চেয়ারম্যান দায়ী না বলে তিনি জানান।
মৃত আকবর আলীর ভাতিজা জানান, আমারদের বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামে। আমার চাচা বিবাহ সুত্রে রুদ্রপুর শশুরবাড়ি ঘর জামাই হিসাবে থাকতো। গত কাল রাতে খবর আসে চাচা স্টক করে মারা গেছে।সকালে লাশ আনতে রুদ্রপুর গেলে সেখানে দেখি আমার চাচার লাশ নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে আমার চাচার মৃত্যুর কারণ হিসাবে ফাঁসাতে মরিয়া ওখান কার একটা রাজনীতি গ্রুপ। যেটা আসলে আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। মৃত্যু আল্লহর হাতে। তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার চাচা পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। চাচার লাশ নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু জানান, আমার হ্যালো চেয়ারম্যান প্রোগ্রামের ১৫ তম দিনে রুদ্রপুরের একজনের ফোন পেয়ে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে গেলে রুদ্রপুর পশ্চিম পাড়ায় বউ বাজারে সিঁংড়া-পিঁয়াজি বিক্রেতা আকবর আলী আমার গাড়ির গতিরোধ করে আমার কাছে ত্রান দাবি করে। আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলে আসি যে সে যেন ত্রান পাই তার ব্যবস্থা করতে।এবং সে ত্রান পাবে বলে তাদের আস্বস্ত করে চলে আসি। আজ সকালে শুনি উনি মারা গেছেন। উনার মৃত্যুর খবর পেয়ে কষ্ট পেয়েছি। আর তার এই মৃত্যকে পুঁজি করে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এবং আমাকে ফাঁসাতে আমার ইউনিয়নের একটি কু-চক্রী মহল নোংরা রাজনীতি তে মগ্ন হয়ে আমার নামে বিভিন্ন গুজব রটাচ্ছে যে আমি নাকি ঔ আকবর আলীকে লাঞ্চিত করেছি তাই সে মারা গেছে। এটা ডাহা মিথ্যা কথা এবং আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সকল সংবাদিকদের ঘটনার বিষয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য তিনি আহব্বান জানান।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন