প্রত্যয় ডেস্ক: সারাদেশে বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। কুষ্টিয়া, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ এবং শেরপুরে বজ্রপাতে এ ৭ জনের মৃত্যু হয়। জেলাভিত্তিক খবর-
দিনাজপুর : বজ্রপাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দাউদপুরের মালদহ গ্রামে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, দাউদপুর ইউনিয়নের মালদহ গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর স্ত্রী শাবানা (৪০) বাড়ির পাশে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়াও একই ইউনিয়নের দেওগাঁ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল হালিম (৬৫) বজ্রপাতে মারা যান।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক নারীসহ ২ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকালে এবং সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার চকদৌলতপুর এবং আড়িয়া ইউনিয়নের পৃথক স্থানে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশ ও মিরপুর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মৃতরা হলো- দৌলতপুর উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রামের নাহারুল ইসলাম (৫২), আড়িয়া ইউনিয়নের শেনপাড়া এলাকার কৃষক ইরাজুল ইসলাম (৪৮), বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনা পাড়া এলাকার আবু জেহেলের ছেলে কামাল হোসেন (৩০), একই এলাকার নুরুর ছেলে মহিবুল ইসলাম (২৮)। এ ছাড়াও বজ্রপাতে মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় আরও দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, বিকালে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সময় কৃষক নাহারুল ইসলাম গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিল। তার স্ত্রী কমলা খাতুন আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখে নাহারুল ইসলামকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য ডাকতে যান। হঠাৎ বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা দেখে তাদের দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহারুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নাহারুলের স্ত্রী কমলা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। অপরদিকে আড়িয়া ইউনিয়নের শেনপাড়া এলাকার কৃষক ইরাজুল ইসলাম (৪৮) বিকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত অবস্থায় পড়েছিল, পরে স্থানীয়রা থাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। অপরদিকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া শাম্মি আক্তার জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া এলাকার আবু জেহেলের ছেলে কামাল হোসেন (৩০), এবং একই এলাকার নুরুর ছেলে মহিবুল ইসলামকে (২৮) নিয়ে আসা হয়। বজ্রপাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
শেরপুর : শেরপুর সদর উপজেলার ধলাকান্দা চান্দেরনগর গ্রামে বজ্রপাতে রুবেল (২৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। রুবেল ওই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেল আমন ক্ষেতে কৃষিশ্রমিকের কাজ করে বিকালে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি আহত হন। তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।