নিজস্ব প্রতিবেদক: মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের ওই হত্যা মামলায় জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার পর আজ শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া পুলিশের মধ্যে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং অবশিষ্ট পাঁচজনকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন। জেলা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফ থানার ৯/২০২০, সিআর : ৯৪/২০২০ (টেকনাফ) নম্বর মামলায় টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্য সাত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাঁদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অন্য পাঁজজন হচ্ছেন- যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন। এতে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া সাত আসামির মধ্যে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ডে ও অপর চার পুলিশকে দুদিন পর্যন্ত কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।