সৈয়দ মোঃ শামীম গোয়াইনঘাট সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট জেলার জৈন্তাপুরে সমাজ কল্যান বিভাগে অনার্স ২য় বর্ষ ও পাশাপাশি সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল.এল.বি ১ম সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত ছাত্রী খালার সহায়তায় খালু কর্তৃক ধর্ষনের স্বীকার, ঘটনায় খালা খালু আটক করেছে পুলিশ ৷
মামলার এজাহার সূত্রে যানাযায়, সিলেটের জৈন্তাপুরে সমাজ কল্যান বিভাগে অনার্স ২য় বর্ষ ও পাশাপাশি সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল.এল.বি ১ম সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত ছাত্রী বৈষিক মহামারির কারনে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে ৷ আসামীগন ভিকটিমের একই গ্রামের বাসিন্দা ও ২নং আসামী সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হয় । সেই সুবাধে ভিকটিম সিলেট হতে বাড়িতে আসা যাওয়া করলে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়ীতে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন গল্প গুজব কথা বার্তা বলিত । আসামী সুমি বেগম খালা সম্পর্ক হওয়ায় ভিকটিম সরল বিশ্বাসে তাহার বাড়ীতে যাওয়া আসা করে
গত ২মে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে ইফতারির দাওয়াত দেয় কিন্তু ভিকটিম যেতে রাজী ছিলেন না, আসামী সুমি বেগম ভিকটিমের পিতা-মাতাকে বলিলে ইফতারের কিছু আগে সরল বিশ্বাসে আসামীদ্বয়ের বাড়িতে যায়। ইফতার শেষে কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত অনুমান ৮.৩০টায় আসামী সুমি বেগম কৌশলে চায়ের সাথে নেশা জাতীয় কিছু মিশাইয়া চা খাইতে দেয়। অতিথি আপ্পায়ন’র সুবাদে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে চা খাওয়ার পরে অচেতন হইয়া পড়লে আসামী সুমি বেগমের সহায়তায় তার স্বামী কয়েছ আহমদ ভিকটিম ধর্ষন করে কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররীকে এবং উলঙ্গ অবস্থায় মোবাইলে ভিকটিমের ভিডিও ধারন করে ৷ হঠাৎ ভিকটিমের চেতন হয়ে যায় চেতনফিরিলে আসামী কয়েছ আহমদকে তার পাশে দেখতে পায়, ভিকটিম চিৎকার করিলে আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরিয়া রাখে ভিকটিম ধস্তাধস্তি করে এক পর্যায় মুক্ত হয়ে তাহার পিতা মাতাকে সংবাদ দেয়৷ এবং সংবাদ পাইয়া দ্রুত আসামীদ্বয়ের বাড়িতে আসেন এবং ঘটনা বিস্তারিত বলেন, এ সময় ভিকটিমের মা কৌশলে আসামীর মোবাইল সংগ্রহ করিয়া নেয়। ভিকটিম তাহার আত্বীয় স্বজনের পরামর্শে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা গ্রহন করে সেই মর্মে এজাহারে উল্লেখ করে৷ পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী /২০০৩) এর ৯ (১) /৩০, তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩২৮ ধারা এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) মামলা রেকর্ড করে (মামলা নং-০১, তারিখ- ০৪/০৫/২০২০)৷ মামলা রেকর্ডের পর আসামীদের ধরতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৷ আসামীগন পলায়ন করে। পরে RAB ৯ এর সহযোগিতায় ৮মে দিবাগত রাত ৯মে রাত দেড়টায় সিলেট হতে নারী লোভী লম্পট কমলাবাড়ী মোকামটিলা গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে কয়েছ আহমদ (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০) কে আটক করা হয়৷
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, আসামী এই জগন্য ঘটনার কথা স্বীকার করেছে এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাকে সহযোগীতা করেছে বলে জানায় ৷ আমরা তাকে আটক করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি৷ আদালতের কাছে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানাব ৷