স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৩-২৪ মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে বার্নলির মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রাক-প্রস্তুতিতে দুই ম্যাচ হারায় সিটির নতুন মৌসুম কেমন যেতে পারে আন্দাজ করা যাচ্ছিল না। তবে মূল লড়াই শুরু হলেই যে তারা ছন্দে ফিরবে সেটি আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলা। আগের মৌসুমে রেকর্ড সর্বোচ্চ গোল করা আর্লিং হলান্ড এবারও জোড়া গোল দিয়ে শুরু করলেন। এতে আসরের প্রথম ম্যাচেই বার্নলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিটি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে নিজেদের মাঠে সিটিকে আতিথ্য দিয়েছিল বার্নলি। এই মৌসুম দিয়ে তারা আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে। চ্যাম্পিয়নশিপে ৭ ম্যাচ বাকি রেখেই প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেয় বার্নলি। এদিন হলান্ড ছাড়া অন্য গোলটি করেন রদ্রি হার্নান্দেজ। তবে গার্দিওলার কপালে ভাজ নিয়ে এসেছে কেভিন ডি ব্রুইনার চোট। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতেই এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের ফের ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। ডি ব্রুইনার ক্রস থেকে রদ্রির হেড হয়ে বল পেয়ে যান হলান্ড। দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি বল জালে জড়ান। এরপর সিটির মনে ভয় ধরানো সেই চোটের আগমন। মাত্র ২২ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডি ব্রুইনাকে। এরপর তার বদলি হিসেবে নামা মাতেও কোভাচিচের সিটির হয়ে লিগে অভিষেক হয়ে যায়।
২৮তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল খেয়ে যেতে পারত সিটি। ডি-বক্সের বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বার্নলির জাকি আমাদুনি। তবে সেখানে ছুটে গিয়ে কোনো মতে পা ছোঁয়ান রদ্রি। তাতে বল চলে যায় গোলরক্ষক এডারসনের কাছে। একটু পরই এবার রদ্রির ভুলে বল পেয়ে যান লিল ফস্টার। বাঁ-দিক থেকে কাট করে ভেতরে ঢুকে তিনি একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
সিটির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি আসে ৩৬তম মিনিটে। বার্নলির রক্ষণে ক্রমাগত চাপ তৈরির ফল পেয়ে যায় সফরকারীরা। ডি-বক্সে জুলিয়ান আলভারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন হলান্ড। সেটি ঠেকানোর জন্য বার্নলি গোলরক্ষকের কোনো সুযোগই ছিল না। যা সিটির হয়ে হলান্ডের ৩৭তম গোল। এর আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্সিতে করা ৬৩ গোল মিলিয়ে ইউরোপের ৫ লিগে এই নরওয়েজিয়ান শততম গোল পেয়ে গেলেন।
প্রথমার্ধে দুবার পিছিয়ে পড়া বার্নলি পরের অর্ধেও ঘুরে দাঁড়ানোর মতো বিশেষ কিছু করতে পারেনি। ৮০ মিনিটে গার্দিওলা হলান্ডকে তুলে নেওয়ার ৫ মিনিট আগে তৃতীয় গোলও পেয়ে যায় সিটি। ফোডেনের নেওয়া ফ্রি-কিক বক্সে ঢোকার আগেই বার্নলি ডিফেন্ডাররা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করে দেন, তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তারা। প্রায় ফাঁকায় বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি রদ্রি।
এরপর ৮৫তম মিনিটে আলভারেজের শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকান বার্নলি গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। কাইল ওয়াকারকে বিপজ্জনক ট্যাকল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আনাস জারোরি। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধান নিয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ শেষ করে।