প্রত্যয় নিউজডেস্ক: লোকেশ রাহুল বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে। ক্যাপ্টেনস নক যাকে বলে! একটা সময় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জন্য ১৬০ পার করাও কঠিন মনে হচ্ছিল, সেই দলটিকেই ২০৬ রানের বড় পুঁজি এনে দিয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। করেছেন বিধ্বংসী হার না মানা সেঞ্চুরি।
ঠিক উল্টো চিত্র যেন ব্যাঙ্গালুরু শিবিরে। ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক হিসেবে যেমন খেলা দরকার ছিল, তার কিছুই করতে পারলেন না বিরাট কোহলি। ১ রানেই ফিরলেন সাজঘরে। দল হারল ১০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তার চেয়ে বড় অপরাধ অবশ্য ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক করেছেন আগেই। যে রাহুলের ব্যাটে চড়ে পুঁজিটাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে পাঞ্জাব, সেই রাহুলের ক্যাচই দুই দুইবার ফেলে দিয়ে ‘খলনায়ক’ বনেছেন কোহলি। ৮৩ আর ৮৯ রানে তার হাত ফস্কে বেরিয়ে যাওয়া পাঞ্জাব দলপতি শেষতক ৬৯ বলে অপরাজিত থাকেন ১৩২ রানে।
আগেই ঝড়ো ব্যাটিং করছিলেন, জীবন পাওয়ার পর রীতিমত বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রাহুল। স্লগ ওভারে যা বড়সড় বিপদ ডেকে আনে ব্যাঙ্গালুরুর জন্য। আইপিএলের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণই কেবল নয়, শেষ ৪ ওভারে করুণ নায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগ করেন রাহুল। যা কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয় ব্যাঙ্গালুরুকে।
এমন এক হতাশার দিন শেষে আর কি অজুহাত দেখাবেন কোহলি! ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বললেন, ‘আমার বোলাররা বল হাতে মাঝের ওভারগুলোতে যথেষ্ট সপ্রতিভ ছিল। সামনে দাঁড়িয়ে এই হারের দায় আমাকেই নিতে হবে।’
ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক মেনে নিলেন, তার ক্যাচ নষ্টের জন্যই দলের অতিরিক্ত ৩০-৪০ রান খরচ হয়েছে। কোহলির কথা, ‘আমরা যদি ওদের ১৮০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারতাম, তাহলে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে এতোটা চাপ আসত না। এমন একেকটা দিন আসে যেদিন কোনও কিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না। এগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
এই হারের দায় নিজের কাঁধে নিতে আপত্তি নেই কোহলির। রাখঢাক না করেই বললেন, ‘যেমনটা আমি বললাম ওই দুটি সুযোগের ক্ষেত্রে আমার সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, এমনকি পরে ব্যাট হাতেও। আমাদের উচিত ছিল চাপকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। কিন্তু আমরা পারিনি।’