নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমলেও বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।সোমবার (১২ অক্টোবর) ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টি শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পরেও অনেক এলাকায় পানি নামতে দেখা যায়নি। পানি নিষ্কাশনের অধিকাংশ চ্যানেল অকার্যকর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফলে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে নগরীর অলিগলিতে পানি ঢুকে পড়েছে। সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ২নং গেটে দেখা গেছে, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের শুরুর অংশে হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত দেখা গেছে। এসব গর্তে পড়ে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে যেতে দেখা গেছে। রিকশাচলক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় পানি জমে যায়। আজও অনেক পানি। রিকশা নিয়ে রাজারবাগ থেকে মালিবাগ যাওয়ার পথে পানির নিচের গর্তে পড়ে চাকা ভেঙে যায়। অথচ গত বছর সিটি করপোরেশন এখানে গভীর ড্রেন নির্মাণ করে। কিন্তু সেই ড্রেনও কাজ করছে না।’
একই চিত্র দেখা গেছে, ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে। এই সড়কটিতেও তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। সড়ক গড়িয়ে পানি ফুটপাতেও চলে এসেছে। পানির মধ্যে যান চলাচলে তীব্র বেগ পেতে দেখা গেছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর মিরপুর সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
নগরীর গ্রিন রোডের অবস্থাও একই। এই সড়কটিতেও হাঁটুসমান পানি দেখা গেছে। আশপাশের দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে। সড়কটিতে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দুপুরের দিকেও পানি নামতে দেখা যায়নি। সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল আলামিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা গ্রিন রোডবাসীর জন্য অভিশাপ। কত মেয়র আসলেন গেলেন, অনেক সময় অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু কেউ কোনও কাজ করেননি। বৃষ্টি হলে পানি বাসাবাড়িতে পর্যন্ত চলে আসে। এখন নতুন মেয়রের অফিস এখানে। তিনিও এই এলাকার এমপি ছিলেন। দেখি তিনি আমাদের জন্য কী করেন।’
মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়া এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে তীব্র দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তীব্র যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।