প্রত্যয় ক্রীড়া ডেস্ক: করোনা বিরতির পর জুলাই থেকে আবার মাঠে ফিরতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ৮ জুলাই তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ শুরুর আগে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগেও কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা হয়নি। ২১ দিনের মধ্যেই তিন টেস্টের সিরিজটি শেষ করবে তারা। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া এভাবে লাগাতার টেস্ট খেলার বিষয়টি পছন্দ হচ্ছে না অনিল কুম্বলের। টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার বিষয়টিতে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। এই দিকটাতে আয়োজকদের বাড়তি নজর দেওয়ার পরাশর্মও দিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি এই লেগস্পিনার।
মাঠের ক্রিকেট বন্ধ গত মার্চ থেকে। এ সময় ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে ম্যাচ খেলতে সেই প্রস্তুতি যথেষ্ট কি না, সেটা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকছেই। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরায় ক্ষেত্রে থাকবে নানা ঝুঁকি। শারীরিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টাও থাকছে। অনাকাক্সিক্ষত এই লম্বা বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফেরা, বিষয়টাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। তাদের মতে, হুট করে মাঠে ফিরে দীর্ঘ পরিসরের সংস্করণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জই হবে। ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা থাকবে প্রবল। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন কুম্বলে, টেস্টের আগে রাখতে বললেন প্রস্তুতি ম্যাচ।
আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান কুম্বলে। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক এবং কোচ বুধবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাম্ভাব্য টেস্ট সিরিজ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড, সেটি নির্ভর করছে সরকারের অনুমতি পাওয়ার ওপর। হঠাৎ করে টেস্ট খেলতে হলে ক্রিকেটারদের শরীরকে মানিয়ে নিতে হবে। কারণ ফাস্ট বোলারদের জন্য ৩০ ওভার, স্পিনারদের জন্য ৩০-৪০ ওভার করা সহজ হবে না।’
বোলারদের কাজটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হবে। কুম্বলের মতে, প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলে সরাসরি টেস্ট খেলতে হওয়ায় কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে ব্যাটসম্যানদের জন্যও, ‘ব্যাটসম্যানদের জন্যও (সহজ হবে না)। ব্যাটিংয়ের সময় তারা সাধারণত যে পেশিশক্তি ব্যবহার করে, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ম্যাচ পরিস্থিতিতে সবকিছুই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে করতে হয়। এজন্য টেস্ট খেলার আগে কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’