ঘুমোতে যাবার বেলায় প্রতি রাত মনে মনে বলি
সকাল হলেই যেনো শুনি করোনা গেছে চলি
খোদার ক্ষুদ্রতের মহিমায় এ বজ্জাতের হয়েছে শেষ
মানব ফিরে পেয়েছে তার আনন্দমুখর সেই পরিবেশ।
মিরাকল ভাবনা আমার ভাবনাই থেকে যায় করোনার হয়না শেষ
লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে চলেছে, বাড়ছে যে এর প্রকোপ বেশ
মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে ভিজে ওঠে তাই অন্তর
মন চায় ওরে থাপ্পড় দিয়ে বলি বিদায় হ’ অতিসত্বর
পরক্ষণেই ভাবি, বিজ্ঞান ফেল, বিশ্বমুরুব্বিদের নেই হম্বিতম্বি আমি কোন স্যার
ধ্বংস করার ক্ষমতা শুধুই একজনের, আলেমুল গায়েব নাম যার।
পাপের বুঝা আমাদের হয়েছে বুঝি এতোই ভারী
আকাশ ছেদিয়া ফরিয়াদ তাই দেয়না আরসে পাড়ি
মসজিদের আজান, মন্দিরের ঢংকা, গির্জার ঘন্টা সবই গেছে থেমে আজ
কিসের বাহাদুরি মানবের তবে, কোথায় আত্মস্বীকৃত রাজাধিরাজ?
জানিনা পৃথিবীর পরিনতি কি হবে, কী আছে আমাদের ভালে
এ রাক্ষসীর উদর ভরবে কখন, ভরবে কোন কালে?
বিশ্ব স্তব্ধ, অচেনা গ্রহ কেউ কারো নয়
সাক্ষাৎ কেয়ামত যেনো মানুষই আজ মানুষের ভয়।
অক্ষমতার যাতনা নিয়ে কষ্টপীড়িত অসহায় পৃথিবী শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখছে এ মহামারী
চোখ বুজে আর থেকোনা প্রভু, দান করো এবার তোমার রহমতের তরবারি
ফিরিয়ে দাও সোনালি সকাল তাড়িয়ে এ ঘোর অমানিশার অন্ধকার
অস্তিত্ব তোমার জিইয়ে রাখতে ভীষণ প্রয়োজন তা হে পরোয়ারধিকার।
লিমরিক