উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন কসাইবাড়ী রেলগেট সংলগ্নে রেলওয়ের কয়েক বিঘা জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। এছাড়া গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য দোকানপাট, হোটেল, গ্যারেজ।
দিনে কিছুটা কম হলেও সন্ধ্যার পর বাড়তে থাকে ট্রাকের সংখ্যা। একপর্যায়ে ট্রাকের সারি চলে আসে উত্তরার শায়েস্তা খান এভ্যিনিউ সড়কে। ট্রাকস্ট্যান্ডের ভেতরে গাঁজার স্পটও গড়ে উঠেছে। ট্রাকের আড়াল ও ফুটপাথ দখলের কারণে রাতে ছিনতাইকারী এবং মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। ফলে প্রতিনিয়ত কসাইবাড়ী ও শায়েস্তা খান এভ্যিনিউ এর মতো আবাসিক এলাকায় যানজটের মহাবিড়ম্বনার পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য নজরে পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অবৈধ দখল নিয়ে নৈরাজ্যের নানা তথ্য। তাদের ভাষ্য, সব কিছুই ঘটছে প্রকাশ্যে। কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দর রেল স্টেশনের একাধিক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন এই ট্রাকস্ট্যান্ডের চাঁদা নেওয়ার পেছনে। উত্তরা আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট করেছে এই ট্রাকস্ট্যান্ড।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, শায়েস্তা খান এভ্যিনিউ সড়কজুড়ে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। সন্ধ্যায় দুই পাশে ট্রাক রেখে প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয় সড়কটি। মাঝে যে জায়গাটুকু আছে, তাতে একটি গাড়ি বা রিকশা কোনোমতে চলতে পারে। তবে দুটি যান পাশাপাশি গেলে আটকে যায়। ফলে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা।
অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান-হোটেল, গ্যারেজ আর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড থেকে মাসে দশ লাখ টাকা চাঁদা উঠছে। স্থানীয় থানা-পুলিশ ছাড়াও এই টাকার ভাগ যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতা, উত্তর সিটি করপোরেশনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার পকেটেও। ফলে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে গা করছে না কর্তৃপক্ষ।