রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধান: বগুড়ার শাজাহানপুরে গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে কলেজছাত্র আশিক (১৭) খুনের সঙ্গে জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ বগুড়া।
গত ৫ই ফেব্রুয়ারিতে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার আমরুল ইউনিয়নের রামপুর পূর্বপাড়া গ্রামে আব্দুস সামাদ এর ভুট্টার খেত থেকে কলেজছাত্র আশিক (১৭) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহত আশিকের মা আরজি খাতুন বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ ওরফে আশিক আসামী কাউসারকে একটি কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে ৪০০ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে আসামী কাউসার কাজটি না করার কারণে আশিক তার টাকা ফেরত চায়। আসামী কাউসার টাকাটা আসামী মাহমুদুলের কাছে রাখে, কিন্তু মাহমুদুল টাকাটা খরচ করে ফেলে। এরপর আশিক বারবার টাকাটা ফেরত চাইলে আসামীগন নানানরকম তালবাহানা করে। আশিক এক বড়ভাইয়ের মাধ্যমে টাকাটা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করলে আসামীরা অপমানিত বোধ করে এবং আশিক কে খুন করার পরিকল্পনা করে। তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় পরবর্তীতে পরিকল্পনা অনুযায়ী আশিক কে খুন করে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, জনাব শরাফত ইসলাম জানান, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব আব্দুর রশিদ এর তত্ত্বাবধানে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ ছাত্র আশিক হত্যার সাথে জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনকে শাজাহানপুর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছে, (১) মো: কাউছার (২২), পিতা: শহিদুল ইসলাম, পরানবাড়িয়া, শাজাহানপুর, (২) মো: মাহমুদুল (২০), পিতা: খালেক, ঝালোপাড়া, রাজা, (৩) মো: সাহান (২০), পিতা: রবিউল ইসলাম, রামপুর, শাজাহানপুর। আসামীরা ধারালো চাকু দ্বারা আশিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে, গলা ও পায়ের রগ কেটে আশিক কে হত্যা করে বলে জানায়। আসামী সাহান এর কাছ থেকে নিহত আশিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, আসামী কাউসার ও মাহমুদুল এর নিকট হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
আসামীদেরকে কোর্টে উপস্থিত করে অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানায় জেলা পুলিশ বগুড়া।