শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
গরমের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা দেশের মতো পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গত দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ বিরাজমান থাকায় প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ।
তীব্র গরমে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টাজুড়ে চলছে লোডশেডিং। এতে জেলায় কদর বেড়েছে হাতপাখার। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঘুমও হারাম হয়ে গেছে পাখা তৈরির কারিগরদের। কারিগররা এখন দিনরাত সমান তালে পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত।
লোডশেডিং আর প্রচণ্ড গরমের কারণে শহর-গ্রাম সর্বত্রই হাতপাখার কদর বেড়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং বেশি হওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি।
পাখা বিক্রির দোকানদার আমিনুল ইসলাম জানান,
এ বছর গরমের শুরুতেও হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ করে গরম বেশি পড়ার কারণে এবং লোডশেডিংয়ের কারণে পাখার চাহিদা দিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে পাবনায় ব্যাপক হারে হাতে তৈরি তালপাখার কদর বেড়েছে। গরমের শুরুতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ পিস পাখা বিক্রি হতো। আর এখন গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতপাখার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। এখন প্রতিদিন একেকটি দোকানে কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ পিস পাখা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে পাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি ১০০ পিস হাতপাখার দাম পড়তো ৯ থেকে ১০ টাকা। এখন সেই হাতপাখা পাইকারি প্রতি পিস ১৫ থেকে ১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
জেলায় বর্তমানে বাঁশের হাতল বা বাঁশের ডান্টির তৈরি হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আর তালের হাতল বা তালের ডান্টির তৈরি হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন থেকে ভাঙ্গুড়া বাজারে পাইকারি দামে হাতপাখা কিনতে আসা ব্যবসায়ী অলক কুমার বলেন, একেতো প্রচণ্ড গরম, সেইসঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি থাকায় গ্রাম-গঞ্জে এখন পাখার কদর তুঙ্গে।