সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: মোংলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পল্লী চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক পিটিয়েছে পতিপক্ষরা। এসময় চিকিৎসকের স্ত্রী বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। শনিবার (১৩ মে) উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের জয়খাঁ গ্রামে এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন। আহতরা স্থানীয় মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া মোংলা থানার এ এস আই মোঃ শামিম আকবর বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক পবিত্র বৈরাগী (৩৫), তার স্ত্রী মিতা বৈরাগী (২৫) ও পিতা পরমানন্দ্র বৈরাগী (৭০) কে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এখন পয়ন্ত অভিযোগ দেননি।
তবে অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন।
ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক পবিত্র বৈরাগী বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের পাশের শরিক হরিবর বৈরাগী (৫০), গুরবর বৈরাগী (৪৫), তারেক বৈরাগী (৩৮), সভাষ বৈরাগী (৬৫) ও সত্তেন বৈরাগীর সাথে (৩৮) জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। তারা তার (পল্লী চিকিৎসক) পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক জবর দখলে নিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে তাদের বাড়িতে ঢুকে। এসময় তার বাবা পরমানন্দ্র বৈরাগী (৭০) বাধা দিলে তাদেরকে মারপিট করে ওই ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে বসত ঘর ও পুকুরের ঘাট ভাংচুর করা হয়। হামলায় পল্লী চিকিৎসক পবিত্র বৈরাগী ও তার স্ত্রী মিতা বৈরাগী আহত হন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তারা উদ্ধার হন তারা।
পল্লী চিকিৎসক পবিত্র বলেন, তাদের উপর এর আগেও কয়েক দফা হামলা চালায় এ সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিলে সন্ত্রামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়। এবার ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মোংলা থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি’।
এ বিষয়য়ে চেয়ারম্যান নাজিনা বেগমকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।