নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বকেয়া বেতন আদায়ে রাজধানীর উত্তরায় জসিমউদ্দিনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সড়ক অবরোধ করে দক্ষিণখান থানাধীন দক্ষিণ আজমপুরের ইন্ট্রাকো ডিজাইন ও ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেড এর প্রায় ৯০০ শ্রমিক। সরকারের কাছে তাদের দাবি প্রতিষ্ঠানের মালিককে আটক করে বকেয়া বেতন আদায় করে দিতে হবে।
শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিকদের ২ মাস ১২ দিনের বেতন বকেয়া রেখে গত ১২ মার্চ থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এখনও তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
জানা গেছে, গত ২২ মার্চ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিক ও শ্রমিক এবং সরকারের মধ্যে অর্থাৎ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমঝোতা চুক্তিতে সিদ্ধান্ত হয়- জানুয়ারি, ২০২৩ মাসের বকেয়া বেতন ২৮ মার্চ, ২০২৩ তারিখে। ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মাসের বকেয়া বেতন এবং ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত (১ মাস ১২ দিনের বেতন) ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-২০ অনুযায়ী চূড়ান্ত পাওনা ও ঈদ বোনাস ২৪ মে, ২০২৩ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করিবে।
পরবর্তীতে মালিক চুক্তি ভঙ্গ করে ২৮ মার্চের পাওনা পরিশোধ না করলে শ্রমিকরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে ৩১ মার্চ মধ্যরাতে শ্রমিকদের জানুয়ারি মাসের বেতনের ৭৫ ভাগ প্রদান করা হয়। বাকি ২৫ ভাগ ১৬ এপ্রিলের পাওনার সাথে সমন্বয় করে প্রদান করার কথা থাকলেও উলটো ১৬ এপ্রিলের পাওয়া আবার চুক্তি ভঙ্গ করে ৭৫ ভাগ প্রদাণ করা হয়। শ্রমিকরা তা নিয়েই ঈদ করতে চলে যায়।
গতকাল বুধবার (২৪ মে) শ্রমিকদের জানুয়ারি, ২০২৩ মাসের বেতনের বাকি ২৫ ভাগ, ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মাসের এবং ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত (১ মাস ১২ দিনের বেতন) এর বাকি ২৫ ভাগ ও বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-২০ অনুযায়ী চূরান্ত পাওনা ও ঈদ বোনাস চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরিশোধ করা হয়নি। মালিক পক্ষের কেউ কারখানায় আসেনি এবং শ্রমিকদের সাথে কথা বলেনি। শ্রমিকরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করে বাড়ি ফিরে যায়।
আজ (বৃহস্পতিবার) শ্রমিকরা কারখানায় এসে পাওনাদি পাওয়ার বিষয়ে কোনো রকমের আশ্বাস না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শ্রমিকরা পাওনাদির দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।