সুমন,মোংলা(বাগেরহাট) সংবাদদাতা: সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় ব্যবহার্য প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে সুন্দরবন এলাকার তিনটি প্রধান নদীর ২০ প্রজাতির মাছ মাইক্রো প্লাস্টিকে সংক্রমিত। এসব মাছ খেলে পাচনতন্ত্র ধীরে ধীরে কাজ বন্ধ করে দিবে। লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।তাই সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করার এখনই সময়।
রবিবার সকালে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারীর সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
“Solutions to Plastic Pollution (প্লাস্টিক দূষণের সমাধান)” শ্লোগানে রবিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, শেখ রাসেল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার আব্দুর রশিদ হাওলাদার ও চন্দ্রিকা মন্ডল।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন কেবলমাত্র সুন্দরবনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ করলে হবেনা। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় এখনই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ ও শিল্প দূষণে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বক্তারা বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে মুনাফা করা কোন সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ হতে পারেনা। এটির উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। গ্রীণ হাউস গ্যাসের একটি কারণ হলো প্লাস্টিক। প্লাস্টিক তৈরিতে প্রায় ৩৮ ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এরমধ্যে ১২ থেকে ১৮ ধরণের কেমিক্যাল অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিনও একবার ব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে পড়ে। এটা কোন ভাবে রিসাইকেল হয়না ও বর্জ্য উৎপন্ন করে। এটি ভেঙ্গে যায় ও কণায় পরিণত হয়। পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিবেশ থেকে বিলীন হয়না। এক সময়ে আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প বস্তু ব্যবহারের কথা আমদের ভাবতে হবে। এখনই সুন্দরবন উপকূল এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করা হোক। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশেও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।