স্পোর্টস ডেস্ক: আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে সিরিজে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। দুই ম্যাচের কোনোটিতেই দুইশ রান স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের স্পিনারদের কাছে দুই ম্যাচেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন লিটন-শান্তরা। বিশেষ করে মুজিব-উর-রহমান এবং রশিদ খানের বলে যেন কিছুই করার ছিলো না কারোরই। এই দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আরেক স্পিনার মোহাম্মদ নবীও দুই ম্যাচে পেয়েছেন দুই উইকেট।
টি-টোয়েন্টি দলের চট্টগ্রামের অনুশীলনে তাই বাড়তি নজর ছিলো স্পিনের দিকে। ব্যাটারদের সাথে স্পিন নিয়েই কাজ করেছেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস। আফগান স্পিনারদের কীভাবে সামাল দেয়া যায় সেটাও দেখিয়ে দিয়েছেন এই ট্যাকটিশিয়ান।
ওয়ানডে স্কোয়াডের সদস্যদের ছিলো বিশ্রাম। প্র্যাকটিসে এসেছিলেন টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ১৪ সদস্য। তাদের ব্যাটিং দেখে খুব বেশি মন ভরেনি নিক পোথাসের। নেটে রনি তালুকদারের ড্রাইভ দেখে অনেকটা অড়িঘড়ি করে আফগান স্পিনার সামাল দেয়ার শিক্ষা দিলেন।
রনিকে বোঝানোর জন্য পোথাসক বলছিলেন, ‘রশিদ, মুজিব কিংবা জাদেজা সোজা বল করে। ওদের ভেতরে আসা বলটাই ভয়ংকর। সামনের পা সরিয়ে পুরো ব্যাট নিয়ে খেলাটাই তাই নিরাপদ। তাতে লেগবিফোরও এড়ানো সম্ভব হবে।
পোথাসের এই কথা যে পুরোপুরি ভুল নয়, তার উদাহরণ আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ভেতরে আসা বলে খেই হারিয়ে আউট হয়েছিলেন সাকিব আর তাওহিদ হৃদয়। আফগান দলের তিন স্বীকৃত স্পিনারের প্রত্যেকেই মূলত এই কৌশলেই বিভ্রান্ত করেছেন বাংলাদেশকে।
নিক পোথাসের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সামনে এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপেও যে একই বোলিং ইউনিটকে সামাল দিতে হবে বাংলাদেশের।