বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ রাজধানীর বনানী থানাধীন বেলতলা আদর্শ নগর এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং এর ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। রোববার (১৬ জুলাই) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ১) মোঃ আব্দুর রহিম (১৮), পিতা-মৃত রিপন হাওলাদার, জেলা-শেরপুর, ২) মোঃ রনি মিয়া (১৭), পিতা-মোঃ হানিফ মিয়া, জেলা-শেরপুর ৩) সুজন রায় (১৭), পিতা-মৃত সুব্রত রায়, জেলা-নেত্রকোনা। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ০৩ টি পাইপ, ০৩ টি চাকু ও ০১ টি পাইপ সংযুক্ত চেইন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, রাজধানীর বনানী থানাধীন বেলতলা আদর্শ নগর এলাকা, টিএন্ডটি কলোনী ও কড়াইল বস্তি এলাকায় কতিপয় কিশোর গ্যাং এর কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নামে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে আসছে। তারা মাদক সেবন, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভটিজিং, ছিনতাই, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাং এর বিপথগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ সাস্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব-১ গোয়েন্দা অনুসন্ধান ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে বনানী থানাধীন বেলতলা আদর্শ নগর এলাকায় টিএন্ডটি কলোনীর পাশে কতিপয় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাশকতা করার জন্য একসাথে জড়ো হচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ‘পিচ্চি জয়’ গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা কিশোর গ্যাং ‘পিচ্চি জয়’ গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। কিশোর গ্যাং ‘পিচ্চি জয়’ গ্রুপের প্রধান বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তির মোঃ জয়। কিছুদিন পূর্বে টিএন্ডটি কলোনীর কিশোর গ্যাং “জুয়েল” গ্রুপের সাথে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কড়াইল বস্তির কিশোর গ্যাং “পিচ্চি জয়” গ্রুপের মারামারি হয়। এতে গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুর রহিম ও পলাতক আসামী রতনসহ ‘পিচ্চি জয়’ গ্রুপের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার এবং নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই ‘পিচ্চি জয়’ গ্রুপের ৭/৮ জন সদস্য বেলতলা আদর্শ নগর এলাকায় জড়ো হয়।
আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে আরো জানায়, পিচ্চি জয় গ্রপের আনুমানিক সদস্য ২০/২৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যে কোন পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল।