স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএল দিয়ে শুরু, এরপর নিয়মিত জাতীয় দলের জার্সিতে পারফর্ম করে গিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। ধারাবাহিকতার সুবাদে ডাক পেয়েছেন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে। যেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংসের হয়ে খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের অভিষেকটাও হলো দারুণ। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং এর সুবাদে জয় দিয়ে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ শুরু করলো জাফনা।
রোববার শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট কলম্বো স্ট্রাইকার্স এবং জাফনা কিংস। আর তাতে দাপট দেখিয়েই ২১ রানের জয় তুলে নিয়েছে টুর্নামেন্টের সফলতম দল জাফনা। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের তাওহীদ হৃদয়। খেলেছেন ৩৯ বলে ৫৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল জাফনা। রহমানউল্লাহ গুরবাজের ১১ বলে ২১ রানের সুবাদে ঝড়োগতির ব্যাটিং উপহার দিয়েছে দলটি। তবে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই দুই ওপেনার ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
হৃদয় যখন উইকেটে আসেন তখন দলের রান ২ উইকেটে ৪২। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শুরুতেই চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। এরপর প্রিমল পেরেরার সঙ্গে ৪১ আর দুনিথ ওয়ালালেগের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান এই ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত ৩৯ বল খেলে ৫৪ রানে থেমেছেন হৃদয়। ৪টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে সাজিয়েছেন তার ইনিংস। এই তরুণ ব্যাটারের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অভিজ্ঞ থিসারা পেরারা। তার ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে ১৭৩ রানে থামে জাফনা কিংস। কলম্বোর হয়ে ৩০ রানে ১ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার নাসিম শাহ।
১৭৪ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কলম্বো স্ট্রাইকার্স। দলীয় ৩৩ রানে বাবর আজম আর ৪০ রানে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। তবে, আরেক ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা ছিলেন দারুণ ছন্দে। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ম্যাচের ৯ম থেকে ১১তম ওভারের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও বেশি চাপে পড়ে যায় কলম্বো। ডিকওয়েলা নিজেও ফিরে যান ৫৮ রান করে।
সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসা হয়নি কলম্বোর। মোহাম্মদ নাওয়াজের ২৩ এবং রমেশ মেন্ডিসের ১৭ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৫২ রানে থামে কলম্বোর ইনিংস।
জাফনার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার হার্দুস ভিলজিয়ন। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন দিলশান মাধুশাঙ্কা ও বিজয়কান্ত বিয়াসকান্ত।