স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ের পর স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন প্রধান লুইস রুবিয়ালসের উচ্ছ্বাসটা প্রত্যাশিতই ছিল। নারী বিশ্বকাপ শুরুর আগে কোচ হোর্হে ভিলদার বিপক্ষে প্রতিবাদে ফুঁসছিল ফুটবলাররা। এমনকী প্রতিবাদরত অনেক ফুটবলার ফেডারশেনকে মেইল করে তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না রাখার জন্যও জানিয়েছিল।
অনেকটা বিশৃঙ্খলার মধ্যেই বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল স্পেনের মেয়েরা। সব ঝড় সামলে সেই তারাই শেষমেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সেটিও আবার নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার। জার্মানির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে পুরুষ ও নারী ফুটবল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবও এখন স্প্যানিশদের।
গতকাল (রোববার) সদ্য সমাপ্ত নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানোর পর ফুটবলারদের সঙ্গে ফেডারেশন প্রধানের উচ্ছ্বাসটাও ছিল চোখে পড়ার মতোন। মাঠে হাজির ছিলেন স্পেনের রানিও। তবে উদযাপনের মধ্যেও ‘চুমুকাণ্ড’ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পদক নিতে আসা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন রুবিয়ালস। স্টেজে ওঠার পর তাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু খেয়ে বসেন স্পেন ফুটবল প্রধান। মুহূর্তেই দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অন্য ফুটবলারের তুলনায় হারমোসোর সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালস। দুহাতে জড়িয়ে উঁচুতেও তুলে ধরেন। একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোটে চুমু খান রুবিয়ালস।
বিষয়টি যে স্প্যানিশ তারকা হারমোসোর পছন্দ হয়নি সেটিও পরে এক লাইভে জানিয়েছেন তিনি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমার এটা বিন্দুমাত্র পছন্দ হয়নি।’ যদিও পরবর্তীতে নিজের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পাশে দাঁড়ান স্প্যানিশ তারকা।
সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হারেমোসো দাবি করেছেন যে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন রুবিয়ালস। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি যা করেছেন, তা নেহাতই স্নেহ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ বলেও জানিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার।
চুমুকাণ্ড ছাড়াও রুবিয়ালসের আরও অনেক কর্মকাণ্ডকেই বাড়াবাড়ি বলছেন অনেকে। যেমন বিশ্বকাপ জয়ের পর স্পেনের মেয়েদের উদযাপনে বারবার পোজ দিতে ঢুকে যাওয়া, মেয়েদের হাত থেকে ট্রফি নিয়ে স্পেনের রানীকে দেওয়া, শেষে লকার রুমে ঢুকে হাসিঠাট্টা করাতো ছিলই। তবে ফুটবলারকে চুমু দেওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। একজন লিখেছেন , ‘আমার কোনো ভাষা নেই। ওর (হারমোসো) মুখ চেপে ধরেন এবং তাকে চুমু খান স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি? বিশ্বব্যাপী একটি টুর্নামেন্টের সরাসরি সম্প্রচারের এমন হেনস্থাকারীদের থেকে রেহাই মিলছে না।’