স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল আফগানিস্তানের। ৫০ ওভারে মাত্র ২০২ রান করলেই ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ডেডলক ভাঙতে পারতো আফগানরা। কিন্তু হারিস রউফদের বোলিং তোপে সুযোগতো কাজে লাগাতে পারেই নি, উল্টো ওডিআইতে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবল রশিদ-নবিরা।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০১ রানের বেশি তুলতে পারেনি পাকিস্তান। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ১৯.২ ওভারে মাত্র ৫৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানরা। ১৪২ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
হারিস রউফ একাই ৫ উইকেট দিয়ে স্রেফ ধসিয়ে দিয়েছেন আফগান ব্যাটিং লাইন-আপ। এর আগে ক্রিকেটের এ সংস্করণে আফগানদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৫৮।
এদিন লড়াইটা হলো মূলত স্পিন বনাম পেস শক্তির। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। তবে হারিস রউফ বদলা নিলেন গতির ঝড় তুলে। মূলত তার বোলিংয়েই ধসে গেছে আফগানরা।
২০২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই পাক পেসারদের সামনে অসহায় ছিল আফগান ব্যাটাররা। শুরুতেই আঘাত হানেন তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহর উইকেট। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর শাহিনের দেখানো পথে হাঁটলেন নাসিম শাহ। তুলে নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির উইকেট। যদিও এই উইকেটের কৃতিত্বটা শাদাব খানকেও দেওয়া যায়। নাসিমের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে ঠিক ঠাক ব্যাটে বলে সংযোগ করতে পারেননি শহীদি। শর্ট স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা শাদাব উড়ে গিয়ে বাজপাখির মতো ক্যাচ লুফে নেন। লাফানো অবস্থায় তার হাতে থেকে বল বেরিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগেই তিনি আবার বল তালুবন্দি করে নেন।
বাকি কাজটা একাই সারেন হারিস। নবি, গুরবাজসহ তুলে নেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে ৫৯ রানেই থামতে হয় আফগানদের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে তেমন পুঁজি গড়তে পারেনি পাকিস্তানও। ইমাম-উল-হক, শাদাব খান ও ইখতিখার আহমেদের লড়াকু ব্যাটে ভর করে কোনো রকমে দুইশো পেরোয় তাদের ইনিংস। বাবর ও রিজওয়ানদের ব্যার্থতার দিনে ইমাম-উল-হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৬১ রান। শাদাব খান ৩৯ ও ইখতিখার আহমেদ ৩০ রান করেন।
আফগানিস্তানের পক্ষে মুজিব উর রহমান নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নবি ও রশিদ।