বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:কলকাতার হলটা কী? প্রায় প্রতিদিনই কলকাতায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রাজ্য সরকারের রিপোর্ট থেকেই পাওয়া গিয়েছে সেই রিপোর্ট। শুক্রবার একদিনেই কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩১ জন। বিষয়টি যে সরকার ও প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট। কারণ, আনলক ওয়ানে বিধিনিষেধ মেনেই কলকাতা শহরে এখন গাড়িঘোড়া চলছে। বহু মানুষ পথে বের হচ্ছেন। অফিস–কাছারি খুলে গিয়েছে। ব্যবসা–বাণিজ্যও শুরু হয়েছে। সেই অবস্থায় এই সংক্রমণ বৃদ্ধিকে সহজ ভাবে নিতে রাজি নন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
কলকাতায় নতুন করে ১৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শহরে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০০ জন। গোটা রাজ্যের তুলনায় মাত্র ৮ হাজার ৬৯০ জন কম। একটি মাত্র শহরে এত করোনা সংক্রমিত হওয়াটা যে বেশ উদ্বেগের, তা মানছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। এরই মধ্যে আরও খারাপ খবর হল, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। এর ফলে শহরে করোনা সংক্রমিতের মোট মৃত্যু সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৩২২ জনে। বলা বাহুল্য, গোটা রাজ্যের নিরিখে ব্যাপারটা আশাব্যঞ্জক নয়। তবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬ জন। ফলে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০০ জন। আপাতত সুস্থ হওয়ার হার বৃদ্ধি যাতে অব্যাহত থাকে এবং সেই সংখ্যা যাতে বাড়ে, সে দিকেই দৃষ্টি দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
শুক্রবার শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৩৫৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯০ জন। তবে করোনা সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ হাজার ২৫৯ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে প্রকাশিত এদিনের বুলেটিন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নতুন আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে এদিন কম ছিল সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা। এদিন গোটা রাজ্যে করোনা–মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৩০২ জন। এদিন পর্যন্ত গোটা রাজ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩০৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই ১১ জন নিয়ে পশ্চিমবাংলায় করোনায় মৃত্যুর মোট সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৫২৯ জনে।
এদিন শেষ ২৪ ঘণ্টায় যাঁরা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই ৩৫৫ জনের মধ্যে কলকাতার রয়েছেন ১৩১ জন। এ ছাড়া হাওড়ার ৫৭ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ৫২ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩২ জন রয়েছেন। এদিন সারা রাজ্যে সুস্থ হয়ে যে ৩০২ জন ফিরে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কলকাতার রয়েছেন ৮৬ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ৪১ জন, হুগলির ৩০ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৭ জন, বাঁকুড়ার ১৮ জন, জলপাইগুড়ির ২২ জন এবং কোচবিহারের ২০ জন।