স্পোর্টস ডেস্ক: ২৩ সেপ্টেম্বর এশিয়ান গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। তবে এক সপ্তাহ আগে থেকেই অ্যাথলেট-কর্মকর্তারা এসেছেন গেমসের শহর হাংজুতে। গেমস ভিলেজ এখন এশিয়ার প্রায় সব দেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত। গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই আজ ভিলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হয় বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টকে। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে গেমস ফ্ল্যাগ প্লাজায় উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের পতাকা।
ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরতেও চীনারা দারুণ পারঙ্গম। গেমস ভিলেজে মনোমুগ্ধকর চীনা সংস্কৃতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের বরণ অনুষ্ঠান হয়। দুপুর থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল হাংজুতে। বিকেলে সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন ছিলেন হাংজু এশিয়ান গেমস ভিলেজ মেয়র লি হুওলিন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা হাংজু গেমসের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘এটি নিয়ে তারা তৃতীয় বারের মতো আয়োজক হচ্ছে এশিয়াডের। বেশ নিখুঁতভাবে তারা সব কিছু আয়োজন করে। আয়োজক হিসেবে তারা অত্যন্ত ভালো। অলিম্পিক (২০০৮ বেইজিং) আয়োজনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।’
ভিলেজে বাংলাদেশকে বরণ অনুষ্ঠানে মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের শেফ দ্য মিশন একে সরকার, ডেপুটি শেফ দ্য মিশন ডেপুটি শেফ দ্য মিশন আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
এশিয়াডে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের প্রতি আস্থা রেখে মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এবার সেরা দল নিয়েই এসেছি। সকল খেলাতেই সেরা খেলোয়াড়রা এসেছেন। আমরা ভালো কিছুই প্রত্যাশা করছি।’
এই অনুষ্ঠানের আগে সকালে গেমসের মশাল র্যালি হয়। সেই র্যালিতে প্রতি দেশের একজন করে অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করে। সেই র্যালিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারকা শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী। কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে একাধিকবার পদক জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার।