স্পোর্টস ডেস্ক: প্রায় ১৪ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে একটি ছাড়া সব প্রশ্নই ছিল তামিমকে ঘিরে। একটি মাত্র প্রশ্ন উঠল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। কেন, কোন কারণে এবং কিসের ভিত্তিতে তাকে বিশ্বকাপ দলে নেয়া হলো? তার কী এমন আহামরি পারফরমেন্স ছিল, যা দেখে মুগ্ধ টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা?
এ প্রাসঙ্গিক প্রশ্নর জবাবে প্রধান নির্বাচক বোঝালেন, টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ ৩ সিরিজে কয়েকজন ক্রিকেটারকে মিডল ও লেট অর্ডারে খেলিয়েছেন। নাইম শেখ, সৌম্য সরকার, শামীম পাটোয়ারী ও আফিফ হোসেন ধ্রুবসহ কয়েকজন তরুণ পারফরমারকে খুঁটিয়েও দেখা হয়েছে। কিন্তু তারা কেউই নির্বাচকদের মন জয় করতে পারেননি। যার ফলে নির্বাচকরা বিশ্বকাপের জন্য বেছে নিয়েছেন অভিজ্ঞ রিয়াদকেই।
বিশ্বকাপের দলে তার না থাকাটা ছিল প্রায় নিশ্চিত। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চের পর থেকে দলেই নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঝে তিন-চারটি সিরিজ পার হয়ে গেছে, রিয়াদকে দলে নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ দলে থাকতে পারবেন না বলে তিনি হজও করে এসেছেন এই ফাঁকে। শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের দলেও রাখা হয়নি তাকে।
এশিয়া কাপের দলে না রাখার কারণে, সবাই ধরে নিয়েছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার বুঝি ওখানেই শেষ। যদিও বিসিবি কর্মকর্তাদের মুখ থেকে মাঝেমধ্যে শোনা গেছে, বিশ্বকাপের সম্ভাবনা আছে রিয়াদের। অবশেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়ে গেলেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্বকাপ দলে নেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নান্নুর জবাব, তারা শেষ কয়েকটি সিরিজে কাউকে না কাউকে পরখ করে দেখতে চেয়েছেন এবং সেটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
তাই প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন কথা, ‘প্রতি সিরিজে আমরা যে কোনো একজন ক্রিকেটারকে দেখব, এটাই ছিল আমাদের প্ল্যান । এই প্ল্যানে নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমরা রিয়াদের ফিটনেস দেখেছি। এজন্য আমরা তাকে দলে ইনক্লুড করেছি। সেখানে রিয়াদ নিজেকে মেলে ধরেছে। তাই তাকে নেয়া হয়েছে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।’