1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বাংলার ক্ষমতায় আর ফিরতে পারবে না সিপিএম, সহমত বিজেপি–তৃণমূল

  • Update Time : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০
  • ১৫৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:আমফানে বিপর্যস্ত বাংলার দুর্গত মানুষের ত্রাণে পথে নেমেছে সিপিএম। এমনকী, বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সামর্থ্য অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যের বাজার বসিয়ে অথবা খাদ্যসামগ্রী বিলি করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে তারা। এ ব্যাপারে দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা মানুষের পাশে থাকা। তারা যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, সেই নীতি অনুযায়ীই কাজ করেছে। এর সঙ্গে ভোটের রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

যদিও সিপিএমের এই দাবির সঙ্গে সহমত নয় বিজেপি বা তৃণমূল। দুই দলই মনে করছে, এ ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা আসলে ভোট কিনতে চাইছে। সামনের বছরই (‌২০২১ সাল)‌ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৪ বছরের অপশাসনে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে তাদের জনসমর্থন। আগামী বছরের নির্বাচনে সেই সমর্থন ফিরে পেতে চাইছে সিপিএম। কিন্তু বাংলার মানুষ ৩৪ বছরের অপশাসন দেখেছে। তারা কখনও আর সেই শাসন ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেবে না সিপিএমকে। সিপিএম নেতাদের আশা পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। যদিও সিপিএম নেতা তথা বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য আমরা মানুষের কাছ থেকেই চাঁদা তুলেছি। আর সেই চাঁদার টাকা দিয়েই আমরা আজ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছি। আজ থেকে বহু বছর আগে ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরেও মার্কসবাদীরা এ ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘কেন্দ্রের দেওয়া ত্রাণ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই দলই। আর সেই ত্রাণ নিয়েই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। মানুষ কিন্তু সবই বুঝতে পারছে।’

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে বাংলায় যে বামেদের আসন ছিল ২৩৫, যা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দম্ভের শেষ ছিল না, সেই বামেদের প্রধান দল সিপিএমের এখন বিধানসভায় রয়েছে মাত্র ২৩টি আসন। অন্যদিকে, বিধানসভায় শাসক তৃণমূলের রয়েছে ২২৪টি আসন। আর বিজেপির রয়েছে ১৬টি আসন। গত লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে তারা। করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান বিপর্যয়ের পর রাজ্যে বিজেপির অবস্থান আরও মজবুত হয়েছে বলে ধারণা দলের নেতা সায়ন্তন বসুর। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণবাংলার ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১২টি ব্লকে দুর্গত মানুষের জন্য আমরা বামেদের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি। তারা ভোটবাক্সের দিকে তাকিয়েই সব কিছু করছে। তাতে লাভ হবে না। নির্বাচনে এর কোনও প্রভাবই পড়বে না। দেওয়াল লিখন পরিষ্কার। আর একটু বিশ্লেষণ করলেই তৃণমূল–সিপিএমের আঁতাতটাও বোঝা যায়।’

কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন পরিষ্কার বললেন, ‘তৃণমুল মা, মাটি, মানুষের জন্য কাজ করে। সারা বছর মানুষের সুবিধা–অসুবিধায় পাশে থাকে। তাই মানুষও তৃণমূলের পাশে রয়েছেন। সিপিএম যতই নাটক করুক না কেন, মানুষ তাদের গ্রহণ করবেন না। ৩৪ বছর ধরে যে সন্ত্রাস বাংলায় চালিয়েছে তারা, মানুষ এখনও সে–সব ভোলেননি। ভোটেই ওদের মুখের ওপর ফের জবাব দেবেন।’ সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকেও আক্রমণ করেন জ্যোতিপ্রিয়। বলেন, ‘বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি করাই তাদের কাজ। বাংলার মানুষ এই রাজনীতি পছন্দ করেন না। বিজেপিকে বাংলার মানুষ ভোট দেবেন না। দেখবেন, গেলবারের চেয়েও তৃণমূল বেশি আসন আর ভোট পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে। বিরোধীরা তৃণমূল ঝড়ে উড়ে যাবে।’

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা অবশ্য একটু অন্য রকম। তাদের মতে, এখনও বাংলায় বিধানসভা ভোট এক বছর দেরি আছে। তার আগে অনেক কিছুই ঘটতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই অনুযায়ীই আবর্তিত হবে মানুষের আবেগ। এখনই এ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় আসেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..