স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিলো পিএসজি; কিন্তু সেই জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলো না। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছিলো কিলিয়ান এমবাপের ক্লাব। নিউক্যাসলের সেন্ট জেমস পার্ক স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়ে স্বাগতিক নিউক্যাসলের ইউনাইটেডের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পিএসজিকে। একহালি গোল হজম করে এলো এমবাপেরা। পরাজয়ের ব্যবধান ৪-১ গোলে।
২০ বছর পর ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ম্যাচটা যে তাদের জন্য এতটা স্মরণীয় হয়ে উঠবে, সে ব্যাপারে ঘূর্ণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি তারা। অথচ, ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের মুখে বলতে গেলে চুনকালি মেখে ম্যাচটাকে বরণ করে নিলো নিউক্যাসল ফুটবলাররা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলতে গেলে নিউক্যাসলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে তাকে পিএসজির। বল দখলে পিএসজির চেয়ে ঢের পিছিয়ে ছিলো স্বাগতিকরা। প্রায় ৭৪ ভাগ বল দখলে ছিল পিএসজির। ২৬ ভাগ ছিল নিউক্যাসলের। অথচ গোলের খেলায় পিএসজি গোল পেলো মাত্র ১টি। নিউক্যাসল পেলো চার গোলের দেখা। অনেকটা এমন, খেললো পিএসজি, গোল দিলো নিউক্যাসল।
ধারার বিপরীতে শুরুতেই পিএসজির জালে বল জড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ১৭তম মিনিটে মিগুয়েল আলমিরন প্রথম গোল করেন নিউক্যাসলের হয়ে। ৩৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ড্যান বার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৫ মিনিট পর ব্যবধান তিনগুন করে ফেলেন সিন লংস্টাফ। ৫০তম মিনিটে গোলটি করেন তিনি। ৫৬ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হয় পিএসজির লুকাস হার্নান্দেজ। ম্যাচের শেষ সময়ে তথা ইনজুরি সময়ে এসে (৯০+১ মিনিট) পিএসজির জালে শেষবার বল জড়ান নিউক্যাসলের ফ্যাবিয়েন স্কার।
২০০৪ সালের পর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে আর হারেনি পিএসজি। সেবার চেলসির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিলো তারা। আর ২০০১ সালের পর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পিএসজির জালে চারবার কেউ বল জড়াতে পারেনি। ২২ বছর আগে স্প্যানিশ ক্লাব দেপোর্তিভো লা করুনার কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছিলো তারা।