স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্য ৩১২ রান। ৫৬ রান তুলতেই একে একে সাজঘরে অস্ট্রেলিয়ার ৪ ব্যাটার। প্রোটিয়া পেসারদের তোপে রীতিমত ধুঁকছে অসিরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৪ উইকেটে ৫৭। আউট হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ আর জশ ইংলিশ। মার্নাস লাবুশেন ৩ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ০ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩১১ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লখনৌর অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপের অসহায়ত্ব বের করে ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটি। কুইন্টন ডি কক আর টেম্বা বাভুমার জুটি ভাঙতেই রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয়েছে অসিদের।
১৭.৪ ওভারে জুটিতে শতরান পূর্ণ করেন ডি কক-বাভুমা। অবশেষে ২০তম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ওপেনিং জুটিতে ধীরগতির ছিলেন বাভুমা। তার উইকেটটিই তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন বাভুমা (৫৫ বলে ৩৫)।
এরপর অবশ্য ফন ডার ডুসেনকে ইনিংস বড় করতে দেননি অ্যাডাম জাম্বা। ৩০ বলে ২৬ করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার।
তবে ডি কক বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছিল ৮৩ বলে, এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করলেন ৯০ বলে।
মারকুটে এই সেঞ্চুরির পর অবশ্য দুর্ভাগ্যজনক আউটে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ডি কককে। ম্যাক্সওয়েলকে রিভার্স পুল খেলতে গিয়েছিলেন। বল তার গ্লাভসে লেগে নিচে পড়ে ভেঙে যায় স্টাম্প। ১০৬ বলে ৮ চার আর ৫ ছক্কায় ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রান।
৪১ বলে ফিফটি করেন এইডেন মার্করাম। ৪৪তম ওভারে তার ৪৪ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি থামান প্যাট কামিন্স। স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মার্করাম।
পরের ওভারে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন হেনরিখ ক্লাসেনকেও (২৭ বলে ২৯)। টানা দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর রানের গতি কিছুটা কমে যায়।
শেষদিকে মার্কো জানসেনের ২২ বলে ২৬ আর ডেভিড মিলার ১৩ বলে করেন ১৭ রান। দুই ব্যাটারকেই শেষ ওভারে আউট করেন মিচেল স্টার্ক। রান দেন মাত্র একটি। নাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজিটা হয়তো আরেকটু বড় হতো।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেন দুটি করে উইকেট।