স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা এবারের বিশ্বকাপ রীতিমতো উড়ছে। অন্যদিকে ভালো শুরুর পর শেষ তিনটি ম্যাচে ধুঁকেছে পাকিস্তান। আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোরব) চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বরম ক্রিকেট স্টেডিয়ােমে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে উড়ন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আজকের ম্যাচটি একটি অপশন। পাকিস্তানের জন্য টিকে থাকার লড়াই। এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ পঞ্চম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে প্রোটিয়ারা। এর আগে অঘটনের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তান বিশ্বকাপের শুরুর দুটি ম্যাচে জিতলেও পরের তিনটি ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ আফগানিস্তানের কাছেও হারতে হয়েছে বাবর আজমের দলকে। যে কারণে আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য যেমন সতর্কতার, তেমনি টিকে থাকার কঠিন লড়াইও।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষবারের মতো জয় পেয়েছে ১৯৯৯ সালে। সে হিসেবে গত ২৩ বছর ধরে আনপ্রেডিক্টেবলদের বিপক্ষে জয়হীন প্রোটিয়ারা। আজ চেন্নাইয়ে সে আক্ষেপ ঘুচানোর সময় হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ভারত বিশ্বকাপের আগে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তেমন কোনো প্রতিপক্ষই মনে করতো না পাকিস্তান। কিন্তু গত কয়েক ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সে প্রেক্ষাপট বদলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার ডি ককেই সবচেয়ে বড় ভয় পাকিস্তানের। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবচেয়ে রান সংগ্রহ করেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যে কারণে পাকিস্তানের সামনে এখন প্রধান প্রতিপক্ষ ডি কক।
ডি কককে সামলাতে অফস্পিনারদেরকে কাজে লাগাতে চায় পাকিস্তান। কারণ ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে দেখা গেছে, ডি কক ফিঙ্গার স্পিনারদের বিপক্ষে সফল নন। ফলে পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণে আজ ভিন্নতা দেখা যেতে পারে।
পাকিস্তান দলে একমাত্র অফস্পিনার হলেন ইফতেখার আহমেদ। যে কারণে অনুশীলন সেশনে লেগস্পিনার শাদাব খানকেও অফস্পিন চর্চা করতে দেখা গেছে। এছাড়া লেগস্পিনার উসামা মীরের পরিবর্তে একাদশে থাকতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে হেরে গেলে শেষ চারে খেলা পাকিস্তানের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এরইমধ্যে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে চলে গেছে বাবর-রিজওয়ানরা।
দক্ষিণ আছে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিক ভারত। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই জিতে তাদের পয়েন্ট ১০।