ওয়েব ডেস্ক: অবরোধের প্রথমদিন কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল ও কৃষকদলের দুই নেতাকে হত্যার অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
নিহত ওই দুইজন হলেন, কুলিয়ার চর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা সেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া।
রিজভী বলেন, এটি কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড। অবৈধ আওয়ামী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমস্ত নিয়মকানুনকে পদদলিত করে জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য শেখ হাসিনা পুলিশকে নির্বিচারে হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছে। বর্তমান পুলিশ বাহিনী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লুণ্ঠন, অর্থপাচার, অনাচার ও অবিচারের পাহারাদার। পুলিশ এখন আর রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয়, এরা শেখ হাসিনার প্রাইভেট বরকন্দাজের ভূমিকা পালন করছে। এরা আইনানুগ আচরণ করতে ভুলে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন ,আজ বিএনপির ডাকা ও সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল সমর্থিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিকে এরা রক্তাক্ত পন্থায় দমন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এরা ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে।
নিহত ছাত্রদল নেতা সেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়ার নাম চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
নিহত দুই জনের মরদেহ পুলিশ এখনো তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জোর আহ্বান জানান তিনি।