স্পোর্টস ডেস্ক: তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নবশক্তি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে আফগানিস্তানের। ৬ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে এখনো সেমির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানরা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) লখনৌর ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে আফগানিস্তান। সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই আফগানদের। এই ম্যাচে তারা জিতলে বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলার লড়াই আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠবে।
ম্যাচটি জিতলে আফগানদের পয়েন্ট হবে ৮। যা পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সমান। এই ধাক্কায় পেছনে পড়ে যাবে পাকিস্তান (পয়েন্ট ৬)। ফলে শেষ চারে খেলার লড়াইয়ে একসাথে লড়তে এই চার দলকে।
২০১৫ বিশ্বকাপে যেখানে আফগানরা ম্যাচ জিতেছে একটি, এবার তারা হারিয়েছে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো দলকে। এটি অনুমিত যে, আফগানদের মূল যে সমস্যাগুলো ছিল, তারা সেটি সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।
ওই সময় আফগানিস্তানকে রান সংগ্রহ করার জন্য টপঅর্ডারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এবারের বিশ্বকাপে অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের মতো মিডলঅর্ডার ব্যাটাররা দলের ক্রান্তিকালে দলের হাল ভালোভাবেই ধরতে পারছেন। যে কারণে তাদের উপর আস্থা রাখছেন কোচ জোনাথন ট্রটও।
এক সময় যেখানে বোলিং আক্রমণের ক্ষেত্রে আফগানদের নির্ভর করতে হতো স্পিনারদের উপর, বর্তমানে সে ঘাটতিও পূরণ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দলটি।
পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র হিসেবে দলে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন ফজলহক ফারুকি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্পিনারদের চেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন বাঁহাতি পেসার। শিকার করেছেন চারটি উইকেট। ওই ম্যাচে রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান মিলে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট।
অপরদিকে ৬ ম্যাচে দুইটিতে জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে সবার নজর কেড়েছে ডাচরা। এরপর বাংলাদেশকে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।