ওয়েব ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকারের সাজানো নির্বাচনের তফসিল নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েকদিন যাবত যে হারে মনোনয়নের আবেদনপত্র বিক্রি হচ্ছে, তাতে আগামী প্রহসনের নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা সত্যিকার ভোটার সংখ্যার চেয়েও বেশি হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না! কেননা, এদেশের ভোটাররা এখন এই সরকারের নির্বাচনের মাহাত্ম্য জেনে ফেলেছে। এদেশে নির্বাচনে কারো আর ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভোট এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, বর্তমান চলমান আন্দোলন হচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মানুষের প্রাণের আন্দোলন। অন্যদিকে রয়েছে সব ধরনের রাইফেল, বুলেট, টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেড নিয়ে সরকারের মারমুখী প্রশাসন, যাকে আবার সহায়তা দিচ্ছে সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু তাই নয়, সারাদেশে গ্রামেগঞ্জে পুলিশ বাহিনী গভীর রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এই সত্যের আলোকেই আজকের বিরোধী দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আজকের আন্দোলনের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ভাসিত হবে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো পূর্ণ ধৈর্য বজায় রেখে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এ নৈতিক শক্তির কাছে এই একদলীয় সরকার যথাসময়ে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হবে। এটা ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, দেশের মানুষ এখন এই উপলব্ধিতে রয়েছে যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ‘ইলেকশন ইলেকশন খেলা’র ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। কাজেই খামোখা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ‘টাইম আর এনার্জি’ নষ্ট করে কী লাভ? এমতাবস্থায় সরকার নির্বাচনের যে তামাশা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে তার আড়ালে তাদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ভণ্ডামি এখন দেশে-বিদেশে সবার কাছেই উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। জনগণের এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আদর্শকে আবার আমরা সমুচ্চ করে বিশ্বে এদেশের আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, ইনশাআল্লাহ।