শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
দুদিনের বৃষ্টি শেষে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত জানান দেয়ায় বেড়েছে গরম কাপড়ের ব্যবহার। আবহাওয়া দফতর বলছে শীত আরও বাড়তে পারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের কোথাও কোথাও ১০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে তাপমাত্রা, বয়ে যেতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে পড়ছে ঘনকুয়াশা। যা সকাল পর্যন্ত স্থায়ী থাকছে। এতে উপজেলায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার স্টেশন বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসা দিলপাশার ইউনিয়নের আগবহর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাজের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডার কারণে সকালে উঠতে পারি না। সময় মতো আসতে না পারলে সেদিন আর মাছ ধরা হয় না। জিনিস পত্রের যে দাম গরম কাপড় কিনা নিয়ে চিন্তায় আছি।
উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা বলেন, ‘এবার বন্যা কম হওয়ার কারণে শীত বেশি পড়বে। ফলে দুর্ভোগ শুরু হবে এলাকার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের। সামান্য আয়ে শীতের পোশাক কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো। যারা বিত্তশালী আছেন, তাদের আমরা অনুরোধ করছি, আপনারাও শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বলেন, এবার শীতকালের স্থায়িত্ব বা ব্যাপ্তিকাল অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পর সারা দেশেই মেঘ কেটে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতও শুরু হবে। তবে শীত মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় তাপমাত্রাও কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে জানান তিনি।