চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি: সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে রাঙামাটির আওয়ামী লীগ নেতাদের কোন দাবী নেই, প্রধানমন্ত্রীকে দিতে চান সংবর্ধনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি জনসমাবেশে রাঙামাটিসহ ৬ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়াল যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় দীপংকর তালুকদার বলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর আপনি আর রাঙামাটিতে আসেননি। রাঙামাটির জন্য আপনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, আঞ্চলিক পার্সপোট অফিস, প্রায় ৫০০ স্কুল পাকাকরণ ও পাহাড়ে পাহাড়ে বিদ্যুতের লাইন টেনে দিয়েছেন। আমার একটি অনুরোধ এবারের নির্বাচনে পঞ্চমবারের বিজয়ী হওয়ার পর আপনাকে প্রথম সংবর্ধনা দিতে চায় রাঙামাটিবাসী। আপনি রাঙামাটিতে আসবেন।
এর আগে, রাঙামাটির সঙ্গে যোগাযোগের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতবর। তখন মুছা বলেন, পাহাড়ের শান্তি চুক্তির পর দুই বছর খুব শান্ত পরিবেশ ছিল। এরপর অবৈধ অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রাঙামাটিতে ৪টি দল এবং বান্দরবান-রাঙামাটি মিলে ৬টি দল এখানে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেও উদ্ধার কার্যক্রমে আরও জোর দেওয়ার দাবি জানান মুছা।
পরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ দীপংকর তালুকদারকে বক্তব্য রাখার আহবান জানান মুছা। তখন প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, ‘মনোনয়ন তো পেয়েছেন, বক্তব্য রাখার কী দরকার?’
বক্তব্যের শুরুতেই দীপংকর তালুকদার বলে উঠেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটাকে বলে পাবলিক ডিমান্ড’। উল্লেখ্য রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে রেললাইন বিমান বন্দর ঘোষনা দিলেও আজকের জনসভায় দাবী জানায়নি আওয়ামী নেতারা।
এই সমাবেশে রাঙামাটির চারটি উপজেলার কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।