এলকে জুবায়েদ হোসাইন,কুবি প্রতিনিধি: দিনের আলো ফুরিয়ে লাল মাটির ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা নামে।বিদ্যার পাঠ চুকিয়ে কেউ শহরের জন্য নীল বাস-লাল বাস করে।কেহ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে ক্যাম্পাসের আশেপাশে সবুজের কোলে ঠাঁই খুঁজে নেয় এক কামরার ঘরগুলোতে কিংবা হলের হৈ চৈ আর আমেজে পরিপূর্ণ রুমগুলোতে।
কেউ কেউ আবার নাস্তা সেড়ে আড্ডা জমিয়ে গান ধরে,মুক্তমঞ্চ, শহিদ মিনার,লালন চত্ত্বর, ক্যাম্পাস গেইট, উত্তর মোড় কিংবা দক্ষিণ মোড়ে শীতের চাদর গায়ে জড়িয়ে ঠোঁটে চীনে জন্ম নেয়া ব্রিটিশদের শিখিয়ে দিয়ে যাওয়া চা পানে বসে। ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণা হলেও বাঙালির কখনো চায়ের প্রতি ঘৃণা জাগেনি।বরং চা কে বাঙালি নিজ ডং এ সাজিয়ে নিয়েছে, দেশীয় মশলার দিয়ে লাল চা ত অনেক জনপ্রিয়।শীতের দিনে লাল চায়ের কদর ত আকাশচুম্বী।আর এই লাল চা আর সিদ্ধ ডিম নিয়ে ক্যাম্পাস গেইটে জীবনের পাঠ চুকাতে কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ আর্বতন শাকিল মিয়া বসে পড়েন।শীতের তীব্রতায় সোয়েটার কিংবা চাদর গায়ে জড়িয়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে প্রিয় বন্ধুর সাথে আড্ডা জমে উঠে ছাত্র-ছাত্রী সকলের…
তার সাথে যখন কথা বলি,সে খুব উচ্ছ্বসিত। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘ জীবনের নতুন এক অধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।পা দিয়েছি ক্যাম্পাসে চার মাস ছুঁইছুঁই ‘।সকালে একাডেমিক পড়াশোনা করে জীবনের পাঠ চুকাতে সে রাতে কুবির মূল ফটকের পাশে গরম চায়ের ফ্ল্যাক্স নিয়ে বসে,সাথে থাকে সিদ্ধ ডিম।কোনো কাজ ছোট নয়, যদি তা সৎ পথে হয়। এই বাণী ধারণ করে জীবনের প্রতিটা ধাপে সে চলতে চায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও পাশ্ববর্তী সকল উদ্যেক্তারা তার কাজে খুশি।সকলে তার আগামীর জন্য শুভকামনা জ্ঞাপন করছে।অন্যদের চোখে তার কাজ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কে কি বলবে, না ভেবে শুরু করুন।দেখবেন উৎসাহ দেয়ার মানুষের অভাব হবে না।ডেমোক্রিটাস এর বিখ্যাত একটি উক্তি আছে না?
“প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কাজের চিন্তা করাই বড় জিনিস”
আর কুবির ১৭ আর্বতনে শিক্ষার্থী প্রতিকূলতা ঠেলেই কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।