স্পোর্টস ডেস্ক: কে বলে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ভালো না? ২০ ওভারের ফরম্যাটে টাইগারদের ট্র্র্যাক রেকর্ড নাকি খুব খারাপ! আসলেই কি তাই? ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান কিন্তু তা বলে না।
শুনলে হয়তো অবাক হবেন, এখন পর্যন্ত এ বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ একটি সিরিজও হারেনি। বরং টাইগারদের সামনে ২০২৩ সালে সবকটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার হাতছানি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে টিম বাংলাদেশ তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিয়েছে এবং তার প্রতিটায় জিতেছে। অবশ্য বলে রাখা ভালো, সব কটা সিরিজই হয়েছে দেশের মাটিতে।
এ বছর বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংলিশদের ‘বাংলা ওয়াশ’ করে টাইগাররা।
মার্চ মাসে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে শুরু। তারপর ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যথাক্রমে ৪ উইকেট ও ১৬ রানে জয়ী হয় সাকিব আল হাসানের দল।
তারপর একই মাসে আয়ারল্যান্ডের সাথে প্রথম ২ ম্যাচে ২২ এবং ৭৭ রানে জিতে চট্টগ্রামে শেষ খেলায় হেরে ২-১‘এ সিরিজ নিজেদের করে নেয়া।
আর সবশেষ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিলেটে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের তুলোধুনো করে বাংলাদেশ। প্রথমটি ২ উইকেটে আর পরেরটি ৬ উইকেটে জয়ী হয় টাইগাররা। তার মানে এ বছর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি টিম বাংলাদেশ। শতভাগ সাফল্য ।
এখন প্রশ্ন হলো, ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ বিজয়ের শতকরা ১০০ ভাগ সাফল্য বজায় রাখতে পারবে বাংলাদেশ?
ঘরের মাঠে ৩ সিরিজের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়েও কি সিরিজ জিততে পারবে টাইগাররা? যদি পারে, তাহলে এ বছর চার-চারটি সিরিজই হবে বাংলাদেশের। তাহলে সাফল্যের নতুন ইতিহাস লিখা হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন একটি বছর নেই, যাতে বাংলাদেশ সব কটা সিরিজই জিতেছে। ২০২৩ সাল কি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সব সিরিজ বিজয়ের বছর হয়েই থাকবে বাংলাদেশের?
আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বরে নেপিয়ারে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে ঘুরে ফিরে এই পরিসংখ্যানের কথাই উঠছে। যদিও বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের বড় অংশের ভাবনা ভিন্ন। তাদের কথা, ১৮ ম্যাচ টানা হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে জয়ের দেখা মিলেছে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও নিদেনপক্ষে একটি জয় আসলেই হয়।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত ৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবার দলের প্রধান চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসানও নেই। বাংলাদেশের জন্য তাই জয় পাওয়া কঠিন হবে।
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য ওয়ানডে ম্যাচ জয় থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজছেন। টাইগার কোচের ভাবটা এমন, যদি ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচ পর জয়ের দেখা মিলতে পারে, তাহলে টি-টোয়েন্টিতে ৯ ম্যাচ ম্যাচ পর জয় ধরা দেবে না কেন?
পার্থক্য একটাই। ওয়ানডে সিরিজে কিউই লাইনআপটি ছিল তুলনামূলক কমজোরি। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ফ্রন্টলাইন বেশ কজন পারফরমার ছিলেন না। টি- টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড প্রায় পুরো শক্তিতেই খেলবে। তাই কাজটা একটু কঠিন। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং-তিন বিভাগের পারফরম্যান্স হতে হবে খুব উজ্জ্বল।