স্পোর্টস ডেস্ক: অনেকেরই ধারণা, রোববার মাউন্ট মুঙ্গাইনুতে টস হারই বাংলাদেশের পরাজয়ের প্রধান কারণ। টস জিতলে অধিনায়ক শান্ত নির্ঘাত ফিল্ডিং বেছে নিতেন। এবং কিউইদের নেপিয়ারের মত ১৩০ রানের আশপাশে আটকে রাখতে পারলেই সিরিজ নিজেদের করতে পারতো টিম বাংলাদেশ।
ভক্ত ও সমর্থকদের মাথায় এ চিন্তা ভর করার বড় কারণ হলো, নেপিয়ারের প্রথম ম্যাচ। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩৪ রানে আটকে রেখে ৮ বল আগেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই তারা মনে মনে তেমনটাই চেয়েছিলেন।
কিন্তু এদিন আর টস ভাগ্যে জেতেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান। আর আগে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামিম পাটোয়ারীরা ঠিক উইকেট ঠাউরে উঠতে পারেননি।
মাউন্ট মুঙ্গানুইতে এই পিচে কত রান করলে কিউইদের চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে, স্কোর কত হলে বোলাররা লড়াকু পুঁজি পাবেন, সে ধারণাটা সম্ভবত পরিষ্কার ছিল না কারোরই। তাই সবাই অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করেছেন। এক কথায় লক্ষ্যহীন ব্যাটিং করে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।
ব্যাটিং দেখে বোঝা গেছে, উইকেটের চরিত্র বুঝতে ভুল করেছেন টাইগার ব্যাটাররা। স্পেশালিস্ট ব্যাটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে মনে হয়েছে, তারা এটাকে ব্যাটিং সহায় উইকেট ভেবেই ম্যাচ শুরু করেছিলেন। আর তাই সবাই শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে গেছেন। যা ‘বুমেরাং’ হয়েছে। লম্বা ইনিংস খেলা বহুদূরে, কেউ ২০০এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ১৭ রানেই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে মাউন্ট মুঙ্গানুয়ের পিচকে ১৬০ রানের বলে মনে করেছিলেন, খেলা শেষে সে সত্য বেরিয়ে এসেছে হেড কোচ হাথুরুসিংহের মুখ থেকেই। তিনি ম্যাচ শেষে মিডিয়ায় কথা বলতে এসে মুখ ফুটে বলে ফেলেছেন, ‘শুরুতে আমরা এটাকে ১৬০ রানের পিচ ভেবেছিলাম। কিন্তু আসলে এটা ছিল ১৪০ রানের উইকেট।’
টাইগার হেড কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় দুই ওভার পরই আলোচনা করছিলাম যে, এটা ১৬০ রানের উইকেট হবে না। এখানে ১৪০-১৫০ রান হবে। অবশ্য আমরা সেটাও করতে পারিনি।’
হাথুরু স্বীকার করেছেন, দলের ব্যাটিং ভালো হয়নি। তার ভাষায়, ‘ভালো ব্যাট করিনি আমরা। ১১০ রান এ উইকেটে কম স্কোর। ১০ ওভার শেষে ৪ আমাদের রান কম ছিল। কিন্তু বোলাররা আমাদের ম্যাচে রেখেছিল। পুরো সিরিজজুড়ে বোলাররা যেভাবে বল করেছে, তা রীতিমত মুগ্ধ হওয়ার মতো।’