সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা ও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানে বিরত থাকা সহ কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনা পরিচালনা কমিটির আয়োজনে মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে মোংলা উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি (নৌকা প্রতীক) এর আহবায়ক
সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, বিগত সকল নির্বাচনের মত এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসনে নির্বাচনেও এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা উপজেলার সকল কেন্দ্রে সংখ্যালঘু নারী পুরুষসহ ভোট কেন্দ্রে গেলে ঈগল প্রতীকে দেখিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হবে বলেও ভীতি প্রদর্শন করে চলছেন। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ায় তাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে জনমনে ভীতি ও সংশয় দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) মোংলার হেলিপ্যাড মাঠে নৌকা প্রতীকের জনসভায় সোনাইলতলা ইউনিয়ন থেকে আসা লোকজনের উপর পৌরসভার কুমারখালী ব্রীজ এলাকায় ঈগল প্রতীকের কর্মীরা হামলা চালিয়ে নৌকা প্রতীকের বেশ কয়েকজন কর্মীদেরকে আহত করে এবং সমাবেশে যেতে বাঁধার সৃষ্টি করে। একই দিন সন্ধ্যায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে ঈগল প্রতীকের কর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালায়। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আশংকায় ঈগলের কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সাধারণ ভোটারদেরকেও নানাভাবে হুমকি ধামকি, হামলা চালিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করাসহ একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের আপন ভাইপো সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার তার চাচা ইদ্রিস আলী ইজারদারের ঈগল প্রতীকের কর্মী সভায় নারী নেতৃত্ব হারাম, আমরা গজবে আছি এ ধরনের সংবিধান ও আইন পরিপন্থী বক্তব্য দিয়ে সাধারন নারী সমাজের মর্যাদা ক্ষুন্নসহ হেয় প্রতিপন্ন করেছে। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের সামরিক বে-সামরিক বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীদের বিশেষ অগ্রাধিকার রয়েছে। সেখানে ইকরাম ইজারদারের বিতর্কিত এই বক্তব্য শুধু এই এলাকার নয় গোটা দেশের নারী সমাজকে অপমানিত করেছে। সংবিধান ও নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করে তার দেওয়া এহেন বক্তব্যের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, মিঠাখালি ইউপি আ’লীগের সভাপতি প্রীতিশ কান্তি রায়, চিলা ইউপি আ’লীগের সভাপতি মিহির কুমার ভান্ডারী সহ প্রমুখ।